চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাতিসংঘের ‘উদ্বেগ’কে পাত্তাই দিচ্ছেনা মিয়ানমার

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নতুন করে কার্ফিও জারি করেছে মিয়ানমার। সেখানে আরও অধিকসংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার দেশটির পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়। রাজ্যটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ার প্রেক্ষীতে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করলে, নতুন এই ঘোষণা আসে। রাখাইনে ব্যাপকহারে অধিকার লঙ্ঘণের দায়ে সরকারকে অভিযুক্ত করে আসছে জাতিসংঘ।

রাখাইনের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে সেখানে এই সপ্তাহে একটি আর্মি ব্যাটালিয়ন পাঠানো হয়, শুক্রবার এমন খবরের সমালোচনা করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি। তখন তিনি একে গভীর উদ্বেগের কারণ বলে অভিহিত করেন। এরপরের দিনই মিয়ানমারের এমন পদক্ষেপ।

গত বছরের অক্টোবর থেকে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। পুলিশ পোস্টে হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হয়। কয়েক মাস ধরে চলে এই রক্তাক্ত অভিযান। এতে ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়, সাথে করে নিয়ে যায় ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগের দুঃসহ স্মৃতি।

বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। রোহিঙ্গা মুসলিমরা ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু’ বলে জাতিসংঘ স্বীকৃত। রাষ্ট্রহীন এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে বলে শঙ্কা জাতিসংঘের, যা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।

সরকারের দাবি রাখাইনের মে ইউ পার্বত্য এলাকায় রোহিঙ্গা যোদ্ধারা সক্রিয় আছে। সেখানে উচ্ছেদ অভিযানের তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে বলে শনিবার জানায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানায়, মে ইউতে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা যাতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে না পারে এরজন্যই বাড়তি সেনাবাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইনে ১০ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাদের বাস। কয়েক প্রজন্ম ধরে তারা এখানে বাস করলেও এদের নাগরিক স্বীকৃতি দেয় না মিয়ানমার। মৌলিক অধিকারও পায় না এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাদের অবৈধ বাংলাদেশি বলেই সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

অক্টোবরে সামরিক অভিযান শুরুর পর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলকে এখানে তদন্ত চালানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োজিত একটি কমিশন ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে দেয়।