জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। নানা কর্মসূচীতে তারা স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মহান বাঙালিকে।
বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মদিনটি নানা আয়োজনে ছিল উৎসবমুখর। সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। তারা শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির স্থপতিকে, অঙ্গীকার করেন তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার।
বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা আয়োজন। জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় দেখার প্রত্যাশা জানান সরকারের দুই মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও রাশেদ খান মেনন।
হাসপাতালগুলোতে ছিল বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী। চিত্রাংকনের আয়োজন ছিল টিএসসি, চারুকলাসহ বিভিন্ন স্থানে। শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। শিশু-কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনার আসর ছিল বাংলা একাডেমীতে।
বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেলের উপর কমিক্স প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সেল ‘সিআরআই’। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।