বিশ্বের প্রথম প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন জাইকভ-ডি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান জাইডাস সাডিলা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তিন ডোজের করোনা ভ্যাকসিনটি শিশুদের জন্যও নিরাপদ।
বছরে ১২০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। অনুমোদন পেলে এটি হবে ভারতে ব্যবহারযোগ্য পঞ্চম করোনার ভ্যাকসিন। এর আগে সেরাম ইন্সটিটিউটের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বানানো মডার্নার ভ্যাকসিন অনুমোদন পায় দেশটিতে।
জাইডাসের দাবি, তাদের ভ্যাকসিন ৬৬.৬ শতাংশ উপসর্গযুক্ত করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর আর মধ্যম ধরনের করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ১০০ ভাগ কার্যকর। তারা বলছে, এই ভ্যাকসিন ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নিরাপদ। কিন্তু এর পরীক্ষণের তথ্য এখনও পিয়ার রিভিউ করা হয়নি।
শেষ ধাপের পরীক্ষণে দেশব্যাপী ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেয়, সেখানে জাইকভ-ডি ভ্যাকসিন বেশ ভালো সুরক্ষা ও সক্ষমতা দেখায়। এসব স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ১০০০ জন ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছিলো।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ানোর সময় তাদের তৃতীয় দফার পরীক্ষণ চলছিলো। ভারতে পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্টটি খুবই সংক্রামক এবং ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে এটা নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
জাইকভ-ডি ভ্যাকসিনটির তিন ডোজ থাকছে যেটা এখন পর্যন্ত ভারতের আর কোনো ভ্যাকসিনে নেই। এই ভ্যাকসিন সুইমুক্ত ভাবেই প্রদান করা হবে।
২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু ২৫ ডিগ্রিতেও অন্তত তিন মাস বেশ স্থির থাকে এটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ফলে এই ভ্যাকসিন স্থানান্তর করা, সংরক্ষণ করা এবং কোল্ড চেইন ভাঙার চ্যালেঞ্জ সহজ হবে।
প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন হওয়ায়, জাইকভ-ডি ভ্যাকসিনে ভেক্টর কেন্দ্রিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
প্লাসমিড ডিএনএ ভ্যাকসিন প্রদানের পর তা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন তৈরি করবে এবং একটি রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াকে প্ররোচিত করবে। এটা নতুন মিউটেশনের বিরুদ্ধেও কাজ করবে বলে জানিয়েছে জাইডাস।