চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জলাবদ্ধতায় ডিএনডি বাঁধের ২০ লাখ মানুষ

এক দশকের বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা বা ডিএনডি বাঁধ এলাকার ২০ লাখ মানুষ। বর্ষায় এ সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। পানিবন্দির কারণে ব্যাহত হচ্ছে এলাকাবাসীর প্রাত্যহিক জীবন।

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরকে বন্যা মুক্ত রাখতে ৬০ এর দশকে নির্মিত হয় ডিএনডি বাঁধ। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাঁধের বিশেষ ভূমিকা ছিলো সেসময়। পরবর্তীতে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে বাঁধে বন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষের প্রাত্যহিক জীবন।

ভুক্তভোগীরা জানান, বৃষ্টি আসলেই এখানে পানি জমে যায়। এই বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে দেড় মাস ধরে এখানে পানি জমে আছে। মাতুয়াইল, শনির আখড়া, মোঘলপাড়া, রসুলপুর, আদর্শপাড়া, মুন্সীবাগসহ বিস্তীর্ন এলাকা পানির নিচে। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

ডিএনডি বাঁধের পানি অপসরণে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি পাম্প স্টেশন। তবে কাজে আসছে না ৫০ বছরের পুরোনো এই ব্যবস্থাপনা।

পাউবি ঢাকা যান্ত্রিক পাম্প হাউজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার জানান, ৬২২ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন আমাদের বর্তমান এই ব্যবস্থা কিন্তু বর্তমান আমাদের ক্ষমতা ৫০০ কিউসেকের উপর নয়।

নতুন পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২ বছর ধরে একটি প্রকল্প নিলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি আরও জানান, পুরো এলাকার পানি যদি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয় তাহলে ৮০ কিউমেক ক্ষমতা সম্পন্ন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪টি পাম্প হাউজ নির্মান করা দরকার।

পানি অপসরণে অন্যতম বড় সমস্যা ড্রেনে ফেলা পলিথিন। পলিথিনের কারণে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিষ্কাশন পাম্পগুলো। পয়োনিষ্কাশন ড্রেনে পলিথিন না ফেলতে ডিএনডি এলকাবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।