চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ রোধে চুক্তির স্বপ্ন

গত ১৩ই নভেম্বর প্যারিসে দুর্ভাগ্যজনক সন্ত্রাসী হামলার পর জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে খানিকটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিলো সবার মধ্যেই। তবে শেষ পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সেই সম্মেলন সফলভাবে শুরু হয়েছে।

সবকিছু উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়াসহ বিশ্বনেতারা যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। সম্মেলনে কার্বন নি:সরণ কমাতে একটি আইনী কাঠামো প্রস্তুতসহ আগের চেয়ে আরো বেশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যাটা উপলব্ধি করতে পারে। আমরা এই বিষয়ে কিছু করার দায়িত্ব নিচ্ছি। গত সাত বছর আমরা বেশ কিছু বিনিয়োগ করেছি এনার্জী পরিচ্ছন্ন রাখতে। কার্বন নি:সরণ কমাতে আমরা আশাবাদী। সবার কাছ থেকে ভবিষ্যত নিয়ে সচেতনতা আশা করছি। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসিচব বান কি মুন আবারো ঝুঁকি কমাতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সত্যিকার কার্যকর ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর আহবান জানান।

সম্মেলনে প্যারিস হামলায় নিহতদের জন্য এক মিনিট নীরবতার কথাও বলেন তিনি। 

সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। 

তিনি বলেন, এই আইনী কাঠামো এখান থেকেই তৈরি হতে পারে। এবং জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্যারিসের এই সম্মেলন থেকেই হতে পারে। 

এবারের সম্মেলন একটি সফল পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে বলেই প্রত্যাশা প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর। 

তিনি বলেন, একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে এই সম্মেলনে আলোচনা চলছে, সেটা হলো ফসিল ফুয়েল নিয়ে। ফসিল ফুয়েলের উপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের ব্যাপারে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব রেখেছেন। যেটা হলে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমে যাবে। ফলে কার্বন নি:সরণের সমস্যাও কমে যাবে।

ওবামার কথা থেকে যেটা বেরিয়ে এসেছে এক ধরনের গ্রিন টেকনোলজি তারা আমেরিকাতে ইন্ট্রোডিউস করেছেন যার মাধ্যমে কার্বন নি:সরণ কমাতে চাইছেন তারা। তা থেকে বোঝা যায় সবারই একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এই সম্মেলন নিয়ে। আর আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি তারা আশা নিয়ে আছি যে যেদিন এই সম্মেলন শেষ হবে সেদিন আমরা ভালো একটি ফলাফল পাবো। 

প্রথম দিনেই বিশ্বনেতাদের একাত্মতাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছে আয়োজক দেশ ফ্রান্স।