চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে ডেংগু, প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যে: বিশ্বব্যাংক

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেংগু, শ্বাসকষ্ট এবং পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। এমনকি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের ডেংগু মহামারী বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বছর ঢাকায় বৃষ্টি, তাপমাত্রা এবং আদ্রতা সবগুলোই ডেংগু মশার প্রজননের জন্য উৎকৃষ্ট ছিল। এবারো ডেংগুর প্রাদুর্ভাব প্রকট হয়েছে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৬১০টি পরিবারের ১৫ হাজার ৩৮৩ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন নানারকম রোগে আক্রান্তের সাথে সাথে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করছে। তাপমাত্রা, আদ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের হ্রাস-বৃদ্ধিতে পানিবাহিত রোগ, শ্বাসকষ্ট এবং ডেংগুর মতো রোগের ওপর বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলছে। যেমন তাপমাত্রা এবং আদ্রতা বাড়লে শ্বাস কষ্টের রোগীও বাড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী বাড়লে শ্বাসকষ্টের আক্রান্তের হার বাড়ে ৫.৭%। আর আদ্রতা ১% বাড়লে শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বাড়ে ১.৫%। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে পানিবাহিত রোগ এবং ডেংগুর মতো রোগ কমে।

২০১৯ সালের ডেংগু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সেবছর ঢাকায় ফেব্রুয়ারি মাসেই ১১৫ মিলি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। ১৯৭৬ সালের পর আর কখনো এত বৃষ্টি হয় নাই। মার্চ-জুলাই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ২৮-৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে, আদ্রতা ছিল ৬০-৮০% এর মধ্যে। এর সবগুলোই ডেংগু মশার প্রজননের জন্য উৎকৃষ্ট।

জলবায়ু পরিবর্তন কেবল ঝড়, বন্যা, খরা বাড়াচ্ছে তা নয়, এটি মানুষকে বিষন্ন করে তুলছে বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতো, জাতীয় গড়ের চেয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে বিষন্নতার হার ১৬% বেশি। আর উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি ৩১%। উদ্বেগে আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক মানুষ এবং ২৬-৪০ বছর বয়সী নারীদের সংখ্যা বেশি।

বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সাল এই ৪৪ বছরের তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৫%। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রী বাড়তে পারে। আর বার্ষিক বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে ৭৪ মিমি।