জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানামুখি সমস্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলেও এর পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য উপাদান।
এই উপাদানগুলো স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষক হিসেবে পরিচিত।
মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে যা পৃথিবীকে করে তুলছে উত্তপ্ত। ফলে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে যা বিজ্ঞানীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবে পরিচিত।
তবে বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষক হিসেবে পরিচিত এসব উপাদানের মধ্যে রয়েছে কালো কার্বন, মিথেন, বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের ওজোন গ্যাস এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন।
সনাতন পদ্ধতির ধানের চাতাল, ইটের ভাটা, গবাদি পশুর বর্জ্য, কয়লাখনি ও ডিজেল চালিত যানবাহন থেকে এসব ক্ষতিকর পদার্থ অধিক পরিমাণে নিঃসৃত হয়।
ক্ষণস্থায়ী দূষক পদার্থগুলো বায়ুমণ্ডলে মুক্তভাবে অবস্থান করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি তরান্বিত করছে। এরা একদিকে যেমন বায়ুমন্ডলকে দূষিত করছে, অন্যদিকে মানুষ, জীবজন্তু ও উদ্ভিদের ক্ষতি করছে।
তবে পবিরবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই গ্যাসসমূহের নিঃসরণ কমানো সম্ভব। স্বল্পস্থায়ী জলবায়ু দূষকের পরিমাণ কমলে একদিকে যেমন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার হ্রাস পাবে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে মানবসভ্যতা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: