যেভাবে পাইকারি দরে তরমুজ কেনা হয়, খুচরা বাজারেও সেভাবে বিক্রি করতে হবে- এমন শর্ত আরোপ করে মাইকিং করেছে জয়পুরহাটের ফল ব্যবসায়ীরা।
রোববার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ বিষয়ে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারি দরে যেভাবে কিনে আনেন, খুচরা বাজারে গ্রাহকদের কাছে সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। আবার কেটেও বিক্রি করা যাবে না। ব্যবসায়ীরা এসব শর্ত না মেনে তরমুজ বিক্রি করলে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট ‘উন্নত ফল ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রতন সাহা বলেন, তরমুজ পিস হিসেবে কিনলে পিসেই বিক্রি করতে হবে। কেজি হিসেবে কিংবা কেটেও তরমুজ বিক্রি করা যাবে না মর্মে মাইকিং করে জানানো হয়েছে শহরে। এরপরও কোনো ফল ব্যবসায়ী এসব নির্দেশ না মানলে তাকে জরিমানার আওতায় আনা হবে। প্রমাণ হলে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
এর আগে পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় জয়পুরহাট শহরের ১০ ব্যবসায়ীকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা সহাকারী পরিচালক ফজলে এলাহী ওই অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন।
জেলা শহরের পূর্ব বাজার, বাটার মোড়, পাঁচুর মোড় ও পৌর মার্কেট এলাকায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করা হয়।
জরিমানা করেন তরমুজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, রিপন, গোলাম রাব্বি, সুমন মন্ডল, মো. হাসান, মো. লাইজু, বেনজিরুল হক, সুদেব বর্মণ ও সোহাগ শেখকে।
এ সময় র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ, স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানা এবং আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।