জরাজীর্ণ মাটির ঘরে পাঠদান চলছে রাজশাহীর একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের। সাড়ে তিন’শরও বেশি শিক্ষার্থীর ওই বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিকশিত শিক্ষার যুগে বিদ্যালয়টি রয়ে গেছে মান্ধাত্বার আমলেই।
যে সময়ে ডিজিটাল ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী কক্ষ, বিশ্বমানের পাঠদান ব্যবস্থা, সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন শিক্ষাঙ্গণের কথা উচ্চারিত হচ্ছে সবখানে, সেই সময়ে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় ফিরিয়ে নিয়ে যায় যে শত বছরের পুরনো কোন বিদ্যানিকেতনে।
বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, গতবছর ঝড়ে বিদ্যালয় ঘড়ের চালা উড়ে গিয়েছিলো। মোটামুটি একমাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। এটা আমাদের জন্য চরম ক্ষতি হয়েছিলো।
মাত্র ২১ বছর আগে অস্থায়ী মাটির ঘরেই প্রতিষ্ঠা স্কুলটির। উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন ছিল অল্পদিনেই গড়ে তোলা যাবে পাকা ভবন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি তা। এখন অন্ধকারাচ্ছন্ন মাটির এই কক্ষে গাদাগাদি করে বসেই পাঠ নেয় ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী। যা উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর।
সোনাদিঘী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন, এখানে আদিবাসী শিক্ষার্থী ৪০ শতাংশ। এই অংশ একেবারে নিরক্ষর।
শিক্ষার্থীদের সমস্যার যেনো কোন শেষ নেই। সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক চান সমস্যাগুলো দূর হোক। তৃণমূলের এই বিদ্যালয়টি পরিণত হোক উন্নতমানের একটি শিক্ষাঙ্গনে, এ চাওয়া সবার।