জন্মহার বৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাপান। বৃহত্তর পরিসরে এই পরিকল্পনায় অর্থ ভর্তুকি প্রদান করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আগামী বছর থেকে এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
বিবিসি বলছে, বিবাহে অনাগ্রহী হয়ে উঠা বাসিন্দাদের মাঝে এই প্রযুক্তি তাদের সঙ্গী খুঁজে পেতে সহায়তা ও উৎসাহিত করবে। দেশটির অধিবাসীদের জুটি বাঁধতে সহায়তার জন্য দেশটির যেসব স্থানীয় সরকার ইতোমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে অথবা ব্যবহার শুরু করবে, নতুন বছর থেকে তাদের ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
গত বছর দেশটিতে ৮ লাখ ৬৫ হাজারেরও কম শিশু জন্মগ্রহণ করেছে, যা জন্মহারের সর্বনিম্ন রেকর্ড ছুঁয়েছে।
বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বে সব থেকে এগিয়ে আছে জাপান। বিশ্বের নিম্ন জন্মহারেরও একটি এটি। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি খুঁজছে সে দেশের সরকার। এর আগে সরকারি উদ্যোগে জন্মহার বৃদ্ধিতে মহিলাদের ডিম্বানু হিমঘরে জমিয়ে রাখার ব্যাপারে অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয় দেশটি।
বিশ্বের কোনো দেশে জন্মহার বাড়াতে এটাই এধরনের প্রথম উদ্যোগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এসব পদ্ধতির সর্বশেষ উদাহরণ।
জন্মহার বাড়াতে আগামী বছর স্থানীয় সরকাগুলোকে ২ বিলিয়ন ইয়েন (১৬১ কোটি টাকারও বেশি) প্রদান করবে জাপান সরকার। এরই মধ্যে মনুষ্য চালিত ‘ম্যাচমেকিং’ বা ঘটকালি সেবা পরিচালনা করছে দেশটির বিভিন্ন স্থানীয় সরকার। এর মধ্যে বেশ কিছু স্থানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগও চালু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে প্রযুক্তির এ ব্যবহার দেশটিতে ভালো ফলাফল বয়ে আনবে।
জাপানের কৃর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা স্থানীয় সরকারগুলোকে ম্যাচমেকিং সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অর্থ প্রদানে বিশেষ পরিকল্পনা করছি। আশা করছি জন্মহার বৃদ্ধিতে এটি কাজে লাগবে।