টানা তিন দশক ধরে ছোট পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে দাপটের সঙ্গে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে বাংলার দর্শক তাকে দেখেছেন। হিউমারে ভরপুর এই অভিনেতা ৫০ বছর পূর্ণ করলেন বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর)।
কখনো তিনি বিরহী প্রেমিক মতি, কখনোবা আরমান ভাই আবার কখনো তিনি অপু দ্য গ্রেট!
বলছিলাম ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানের কথা। ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১ বছরে পা রাখলেন এই অভিনেতা। জন্মদিন কীভাবে পালন করছেন?-এমন প্রশ্নে চ্যানেল আই অনলাইনকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-খ্যাত এই অভিনেতা জানান, আমি আগে থেকেই জন্মদিনে হাতে কোনো কাজ রাখি না, শুটিং রাখি না। এই দিনটি স্পেশালি পরিবারকে সময় দেই। আত্মীয় স্বজন কিংবা কাছের মানুষের নানা ফর্মালিটি পূরণে ব্যস্ত থাকি।
নব্বই দশকে জাহিদ হাসানের জনপ্রিয়তা তৈরি হলেও তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু হয় আশির মাঝামাঝিতে। আবদুল লতিফ বাচ্চুর পরিচালনায় ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘বলবান’-এ প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন জাহিদ হাসান। বিটিভিতে প্রচারিত তার প্রথম নাটক ‘জীবন যেমন’।
তবে জাহিদ হাসানকে জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ ভূমিকায় ছিলেন কথা হুমায়ূন আহমেদ। তার পরিচালিত ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’-এর মতো টেলিফিল্ম তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তুলে। হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে ফের বড় পর্দায় আগমন হয় তার। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলেছে!
ছোট পর্দার প্রিয় মুখ হলেও বড় পর্দায় তিনি নির্মাতাদের সমান আস্থা অর্জন করেছেন। শুধু ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এ নয়, তিনি কাজ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘প্রজাপতি’ এবং তৌকীর আহমেদের আলোচিত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রেও। মুক্তির প্রতীক্ষায় আছে তার অভিনীত আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ছবি। একটি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ এবং অন্যটি কলকাতার নির্মাতা আশীষ রায়ের ‘সিতারা’।
ছবি দুটি নিয়ে আশাবাদী জাহিদ হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সিতারা’র সব কাজ শেষে। এখন মুক্তির প্রতীক্ষা। যতোদূর জানি এ বছরেই ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন নির্মাতা। চূড়ান্ত হলে শিগগির জানিয়ে দেবো।
ছবি: আরিফ আহমেদ