পুতুলের প্রতি বাঙালির আকর্ষণ আদিকাল থেকেই। সেই আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এক দল শিক্ষার্থী।
পুতুলনাট্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতাবোধ তৈরির লক্ষে কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থী গড়ে তুলেছে ‘পাপেট থিয়েটার’। এ বছরের জুন মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার’ যাত্রা শুরু করে।
সংগঠনটির মূল উদ্যোক্তা নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আশিক। তিন বছর যাবৎ আশিক ‘বাংলাদেশ পাপেট থিয়েটার গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র’ এর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলো নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী। দিন দিন সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ছে। প্রতিষ্ঠার সময় খুব বেশি না হলেও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই এই কাকতাড়ুয়া’র দল।
ইতোমধ্যে সংগঠনটি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার’ এর আয়োজনে সামাজিক সচেতনতার বিভিন্ন কর্মসূচি হিসেবে জাকসু’র আনন্দশালায় আজও অনুষ্ঠিত হয়েছে পাপেট শো।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ‘চাইল্ড এবিউজ’ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে এই পাপেট শো অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হল সংলগ্ন ‘অবকাশ শিশু একাডেমি’তে প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে আরেকটি পাপেট শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার’ এর প্রতিষ্ঠাতা আশিক বলেন, শিশুদের মাঝে আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষা বিস্তার ও সচেতনতা বাড়ানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রায় সময় আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে শিশুদের সাথে পাপেট শো’র মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করি।
এছাড়াও এবছরের আগস্ট মাসে রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যতিক্রমী পাপেট শো’র আয়োজন করেছিলো ‘পাপেট শো থিয়েটার’।
এসম্পর্কে আশিক বলেন, আমরা সামনে পাপেট শোর মাধ্যমে আরো নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পুতুলের যে একটি শক্তি আছে সেটিকে আমরা কাজে লাগাতে চাচ্ছি। পুতুলের প্রতি আকর্ষণবোধকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করতে চাই। এর ফলে জনসাধারণ যদি একটু সচেতন হয় সেটাই আমাদের স্বার্থকতা।