ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো লজ্জাজনকভাবে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের অপপ্রচার, বিকৃত যৌনতা এবং ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যমে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা।
বিশেষ করে গুগলের ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউবের প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, ইউটিউব কেবল ঘৃণা, সহিংসতা এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার ভিডিও প্রচার করেই সেখানে প্রচুর বিজ্ঞাপণ পাচ্ছে, আয় করছে বিপুল অর্থ।
সামাজিক মাধ্যম জায়ান্টরা তাদের মুনাফাকে যতোটা প্রাধান্য দিচ্ছে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তায় ঠিক ততোটাই উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ব্রিটেনের একটি সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে এসব গুরুতর অভিযোগ করা হয়।
বার বার জঙ্গিবাদে আগ্রহ জাগানো অপপ্রচার,শিশুকে যৌন নির্যাতনে আগ্রহী করা বিকৃত প্রচারণা এবং বর্ণ বিদ্বেষ ছড়ানো পোস্ট সরিয়ে নিতে বলা হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ব্যাপার আমলে নিচ্ছে না। তাই এসব মাধ্যমে নজরদারী, নজরদারীর অর্থ আদায় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপুল টাকা জরিমানা করা ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিটি।