জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আটটি নির্দেশনা জারি করেছে
সরকার। শিক্ষার্থীরা যেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে না জড়ায় এ
ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতন থাকতে হবে। কোন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে সরাসরি ব্যবস্থা
নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নাম আসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ঠেকাতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এরই মধ্যে বেশ কিছু বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে। নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা সবার কাছে বলল কোনোরকম সন্দেহমূলক তথ্য পেলে এবং যেখানে এমন কিছুর ঘটনা ঘটতে পারে এমন কোনো আলামত পেলে আপনারা অতি দ্রুত সেই তথ্যগুলো সরকারের কাছে জানান। একজন শিক্ষক সম্পর্কে এরইমধ্যে পএ-পত্রিকায় জড়িত থাকার কথা উঠেছে এবং আরো কিছু শিক্ষক সম্পর্কে নানা রকম সন্দেহ আছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আমি এখন বলব প্রত্যেক শিক্ষককে পুলিশী প্রতিবেদন জমা দেওয়া দরকার। সে কোথা থেকে এসেছে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তা ছিল কিনা সেটাও আমাদের বলতে হবে। একজন শিক্ষক যদি দিনে দু’টি সেকশন পড়ান কমপক্ষে আশিজন ছেলে-মেয়ে তার কাছে পড়ে থাকে। তাহলে আমি আমার সন্তানকে কার কাছে পড়তে পাঠাচ্ছি সে ভ্রান্ত কোনো জিনিস পড়াচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, জঙ্গি হামলায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে প্রতিষ্ঠান বা পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের দায় নিতে হবে। সন্দেহভাজন শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের চিহ্নিত করে দিতে হবে প্রতিষ্ঠানকেই।
সন্দেহ হলেই নজরদারি বাধ্যতামূলক, স্থানীয় থানা পুলিশকে জানাতে হবে। শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষা অফিসকে জানাতে হবে। অভিভাবকদের নিয়ে নিয়মিত সভা করে শিক্ষার্থীদের ওপর পর্যবেক্ষণ জানাতে হবে। আর টানা অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে তাদের খোঁজ নিতে পুলিশকে জানাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।