সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। মাদরাসা প্রতিনিধিরা বলেছেন, ইসলামের শত্রুরাই ইসলামের নাম দিয়ে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশকে কখনোই এর ক্ষেত্র হতে দেবেন না।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আহ্বানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন।
বক্তারা বলেন, কওমী মাদরাসাকে দোষ দিয়ে সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়। বরং প্রতিটি পেশার মানুষকে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান নিতে হবে।
বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস করে কারা? চরিত্রহীন যারা। চরিত্রহীন কারা? ধর্মীয় শিক্ষাহীন যারা।’
শিক্ষা বোর্ডের সহকারি পরিচালক জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, সত্যিকারের ইসলাম সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।
পাঠ্যসূচিতে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আহ্বানও জানান তারা।
এ ব্যাপারে মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বায়ক নূর হোসেন কাশেমী বলেন, ছাত্রদের চিন্তা-চেতনা সঠিকভাবে গঠন করা না হলে তারা সঠিক মানুষ হতে পারবে না। এ কারণে শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান তিনি।
সরকারিভাবে খুতবা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হলে জঙ্গি দমন ইস্যুতে তা ভালো ফল দেবে না বলে হুুঁশিয়ারি করে দেন মাদরাসার শিক্ষকরা।
মানববন্ধন থেকে বিভিন্ন শ্লোগানের সঙ্গে লিফলেটও বিতরণ করে কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।
লিফলেটে ১৩টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে আছে মাতৃভূমিকে বাঁচানোর জন্য সন্ত্রাস বন্ধ, তাদের ভাষায় নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি ও চাপিয়ে দেয়া অপশিক্ষা বাতিল, অপসংস্কৃতি দমন এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে দ্বীনি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।