ধর্মের অপব্যবহার, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতির দ্বৈতনীতি আর একমুখী শিক্ষানীতি না থাকার কারণে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে বলে মনে করে নাগরিক সমাজ। বিএনপি যদি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে তাহলে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ এর শেকড় উপড়ে ফেলা খুব সহজ বলে মনে করেন আলোচকরা।
তবে তারা বলছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হলে প্রশাসন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপসারণের বিকল্প নেই ।
ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে রাজধানীতে জঙ্গিবাদ বিষয়ক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
বক্তারা মনে করেন রাজনীতির ছত্রছায়ায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি , সঠিক শিক্ষানীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা না থাকা , দেশীয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের প্রতি অবহেলা , আইনের শাসন না থাকা ও এমন আরও অনেক কারণেই জঙ্গীবাদের উত্থান ।
জঙ্গিবাদ উত্থানে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ থাকলেও পরামর্শও রয়েছে অনেক।
অর্থনীতিবিদ ড. ইব্রাহিম খালেদ বলেন,’ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে সততা থাকতে হবে। এটা না করতে পারলে মুখে মুখে এসব দূর করা যাবে না’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন,’ আমাদের এখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য , ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান এসব পড়ানো হয় না’।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন,’ সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত তা মোটেও নয়। কিন্তু আমরা যখন তাকাবো তখন সকলকে নিয়েই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে’।
তবে বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদের আগ্রাসন একটি দেশের এর পক্ষে একা মোকাবেলা করা সম্ভব নয় বরং আন্তর্জাতিক কনভেশন গঠন করে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার দাবি তাদের ।