বর্তমান সময়ে তরুণেরা কেন জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে- এ প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর খোঁজার সময় এসে গেছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে কতখানি আদর্শিক ব্যাপার, কতখানি অর্থনৈতিক ব্যাপার, আর কতখানি পারিপার্শ্বিক অবস্থা, দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি, বিশ্বপরিস্থিতি দায়ী কিংবা জড়িত- এ নিয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণের প্রয়োজন।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিকাশে এবং জঙ্গিদের মানসচেতনা বিবেচনায় প্রথমেই একে আদর্শিক ব্যাপার বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের সকল স্থানে জঙ্গিবাদীরা ধর্মের নামে বিশেষত ইসলাম ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালানোর প্রেক্ষিতে কোনটা সহিহ ইসলাম আর কোনটা সহিহ ইসলাম নয়- এ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু দিনশেষে ফলাফল একই।
এক পক্ষ অন্য পক্ষকে সহিহ নয় বলে অভিযোগ করে নিজেদেরকেই শুদ্ধ বলে দাবি করে। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তে কিংবা সমাধানে পৌঁছা সম্ভব হয়ে উঠে না। প্রচলিত অর্থে সকল ধর্মই শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে বলে প্রচার। তাছাড়া আরবি ‘ইসলাম’ অর্থ ‘শান্তি’ বলা হয়ে থাকে বলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ইসলাম ধর্মকে ‘শান্তির ধর্ম’ বলে আখ্যা দিয়ে দিয়ে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলেই দৃশ্যমান। মডারেট মুসলমানদের ইসলাম আর জঙ্গিদের ইসলাম যে এক নয় সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। জঙ্গিরা ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্যে তাদের ভাষায় জেহাদে অংশ নিচ্ছে বলে দাবি করে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, এবং তাদের ভাষায় গণতন্ত্র হচ্ছে কোরআনের নির্দেশিত আইনকানুনের পরিপন্থী।
পৃথিবীব্যাপী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে এরা ‘তাগুদি’ ব্যবস্থা বলে মনে করে। এবং সে সরকারের পরিষদকে কাফের, মুশরিক মনে করে। ওদের বক্তব্য পরিষ্কার; তাদের ভাষায় জেহাদের নামে খিলাফত প্রতিষ্ঠা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সংঘবদ্ধ জঙ্গিবাদী হামলায় আক্রান্ত হওয়ার সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মত ওরা সহিহ মুসলমান নয় বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি ইসলামের শান্তির পথে ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নয়, সরকারের অন্য অনেক মন্ত্রী, প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও একই ভাষায় অভিযোগ করত: জঙ্গিবাদী কার্যকলাপ ছেড়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। এর আগেও একইভাবে আহবান জানানো হলেও কোন কাজ হয় নি, এবারও হচ্ছে না বলে অনুভূত; কারণ যারা জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে নিজেদেরকে জড়িত করে তাদের মানসগঠন ও চিন্তাধারা কেবল তারা ছাড়া আর কেউ সহিহ মুসলমান নয়, এবং কথিত জেহাদের মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর এ আহবানের মূল্য তাদের কাছে কানাকড়িও নেই কারণ জঙ্গিরা তো এ সরকারকেই ‘তাগুদি সরকার’ মনে করে, আর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টজন তাদের কাছে কাফের-মুশরিক। তারা সশস্ত্র জেহাদে নেমেছে যাদের বিরুদ্ধে তাদের যেকোনো অনুরোধ-উপরোধ-আহবান তাদের কাছে মূল্যহীন। জঙ্গিবাদ ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না, জঙ্গিদের জানাজা পড়াও হারাম- এমন ফতওয়া সম্প্রতি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ জামাতের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। দেশের লক্ষাধিক আলেমের সাক্ষরে এ ফতওয়া প্রকাশিত হলেও ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কিছু ইসলামপন্থী দল এর বিরোধিতা করেছে।
এরপর গত ১৫ জুলাই সারাদেশে জঙ্গিবাদবিরোধী বিশেষ খুৎবা পাঠের অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এখানেও বাধার মুখে পড়ে এ উদ্যোগ। দেশের অনেক জায়গার মসজিদের ইমামেরা এ খুৎবা পাঠ করেন নি। সরাসরি বিরোধিতা করেছে হেফাজতে ইসলাম। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশন পিছু হটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ‘এ খুৎবা কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় নি’।
জঙ্গিদের আদর্শিক অবস্থানকে উদ্দেশ করে সরকারের এ দুই উদ্যোগ সফল হয় নি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতওয়া অনেকের পছন্দ হয় নি, আবার একইভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশেষ যে খুৎবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সেটাও সফল হয় নি। এই বিরোধিতাকারীদের সকলেই যে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে তা নয়, তবে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা বা জেহাদিদের ভাষায় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে তারা যে অখুশি হবে না সেটাও প্রমাণ হয়।
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বখে যাওয়া তরুণ-যুবাদের আদর্শিক বিভ্রমের সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যাপারও জড়িত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সময়ের জঙ্গিদের পারিবারিক পরিমণ্ডল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এদের অনেকেই সচ্ছল পরিবারের সন্তান। আবার অনেকেই অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। সচ্ছল পরিবারের সন্তানদের বেশিরভাগই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া; আবার অসচ্ছলদের অধিকাংশই মাদরাসা-পড়ুয়া। এই দুই শ্রেণির মধ্যে একপক্ষ ওপথে পা বাড়িয়েছে তার সম-শ্রেণির কেউ উদ্ধুব্ধ করেছে বলে, আর অন্য শ্রেণির লোক জড়ো হয়েছে প্রাথমিক অবস্থায় আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার অভিলাষে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, গ্রামাঞ্চলে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের লোক রিক্রুট হয় প্রধানত আর্থিক লোভের মাধ্যমে। প্রাথমিক পর্যায়ে যারাই জামায়াত-শিবিরের সদস্য হয় তারা আর্থিক নিশ্চয়তা পায় সে সংগঠন থেকে, এবং এরপর অনেকক্ষেত্রে চাকুরির নিশ্চয়তাও।
এখানে জামায়াত-শিবিরের প্রসঙ্গ আসার কারণ হিযবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রধানত জামায়াত-শিবিরের আদর্শ থেকে উদ্ভূত, এবং তাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ঐ একই। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মিডিয়ামাধ্যমে প্রকাশ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর প্রধান আয়ের উৎস সিরিয়া, ইরাকের লুট করা তেল। এ তেল তারা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। ধর্মের নামে পরিচালিত তাদের কথিত সে জেহাদের সঙ্গে লুটপাটজনিত অর্থের যোগ রয়েছে। সে হিসেবে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচার ও জেহাদের আহবান শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বস্থানীয়দের ভোগবিলাসের অভিলাষ। আর এতে সহজেই বিভ্রান্ত হচ্ছে অনতি-তরুণেরা যারা কোন না কোনভাবে ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে ধর্মের সমীপে নিজেদেরকে সমর্পণ করে বলে মনে করে থাকে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের আদর্শিক অবস্থান ধর্মের মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এটা আদতে অর্থনৈতিক এক ক্রিয়াকলাপ। ফলে নতুনভাবে যোগ হওয়াদের তারা নেশাজাতীয় ‘ক্যাপ্টাগন’ গ্রহণে বাধ্য করে। জেহাদিতে রূপান্তরের পর নেতাদের মনস্কামনা কী সে বোধ উল্লেখিত তরুণদের আর থাকে না।সামাজিক ক্ষেত্রের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জঙ্গিদের প্রাথমিক পরিবর্তন অবস্থায় তাদের অধিকাংশই ধর্মের প্রতি প্রবলভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে করে পরিবার ও সমাজ তাদের মুলচিন্তা এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনধরনের ধারণা করতে পারে না। সন্তান হুট করে ধর্ম অনুরাগি হয়ে উঠেছে এমন অবস্থায় অধিকাংশ পরিবারই একে ইতিবাচক হিসেবে দেখে। ধর্মের প্রতি হঠাত করে অতি-আসক্তি কেন- এমন প্রশ্নকে পাপ হিসেবে দেখে প্রায় সবাই। ফলে পরিবার ও সমাজ থেকে তারা প্রাথমিক ছাড়পত্র পেয়ে যায় সহজেই।
রাজনৈতিক দিক চিন্তা করলে দেখা যায়, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখনও জঙ্গিদের হাতে ধর্মের নামে খুন হলেও খুনিদের অপরাধী ভাবার চাইতে খুনের শিকার ব্যক্তিদের দোষত্রুটি খুঁজতে মরিয়া। ফলে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক সহ প্রায় সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিই এধরণের মানসিকতার প্রকাশ ঘটানোর কারণে খুনিরা এক খুনের পর অন্য খুনের জন্যে প্রস্তুতি নিতে পারে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা এমনই। একারণে জঙ্গিবাদের এমন বিস্তার বলে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মতপ্রকাশ করেছেন।
অতীতের এমন দুঃখজনক পরিস্থিতির বিপরিতে ইতিবাচক বাস্তবতা হলো গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদ জামাতকে টার্গেট করে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ এসেছে। গুলশানে জঙ্গি হামলায় সরকার চূড়ান্ত রকমের ব্যর্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সহ দায়িত্বশীলদের অনেকেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সারাদেশের ২৬২ জন ‘নিখোঁজ’ লোকের তালিকা প্রকাশ করেছে। জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে এসে সে সংগঠন সম্পর্কে তথ্য দিলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার এবং যে কেউ জঙ্গিদের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিলে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে র্যাবের মহাপরিচালক সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণাকে দীর্ঘদিনের অস্বীকার তত্ত্বের বাইরে এসে স্ববিরোধী হলেও ইতিবাচক ব্যাপার হিসেবেই দেখা যায়। র্যাবের পক্ষ থেকে জঙ্গিবাদ সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে তথ্যদাতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও বলা হয়েছে, যা ভালো সিদ্ধান্ত।
র্যাব ডিজির এ ঘোষণার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নীরব অথচ সামাজিক এক প্রতিরোধ শুরু হবে বলে আমরা আশা করতেই পারি। জঙ্গিবাদের আস্ফালনকে সরকার, প্রশাসন আগে যেখানে স্বীকারই করত না, এখন সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কিছু পদক্ষেপের কথা বলছে। ‘ঠেকে শিখা’ বলে যে প্রচলিত কথা আছে সেটার এক প্রমাণ এমন পুরস্কারের ঘোষণা, তবু স্বাগত জানানোই যা কারণ অন্তত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, কয়েকদিন আগে সারাদেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে জঙ্গিবিরোধি সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা কয়া হলো। কিন্তু সে অভিযানে ১০ হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রশাসনের দাবি অনুযায়ি জঙ্গি ছিল দুই শ’য়ের কম। সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশ জঙ্গি খুঁজে পায় নি, অথচ এর পরপরই নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ।
একটা লোক যখন জঙ্গিবাদে জড়ায় নিশ্চিতভাবেই তার পরিবারের সকল সদস্য, আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী সেসবে জড়ায় না। কেউ কেউ একে সমর্থন করলেও অধিকাংশই নীরব থাকে। জঙ্গিবাদের বিরোধিতাকারী কেউ সেখানে থাকলেও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার কারণে মুখ খোলে না। এখন র্যাবের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসার পর পরিবার, সমাজ থেকে অন্তত কিছুটা হলেও তথ্য আসবে, এতে করে ক্রম-বিকাশমান এ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারবে। জঙ্গি হয়ে গেছে এমন কেউ হয়ত এক্ষেত্রে ফেরত আসার সম্ভাবনা কম, কিন্তু তার চারিপাশের সমাজ থেকে কেউ না কেউ তথ্য দিতেও পারে। জঙ্গিবাদে একজন জড়ালেও সে সমাজ, পরিবেশের সকলেই জড়িয়ে পড়ে না। জঙ্গিবাদ যেমন পুরোপুরি আদর্শিক ব্যাপার নয়, ঠিক একইভাবে এটা পুরোপুরি অর্থনৈতিক ব্যাপারও নয়। তবু এখানে এ দুই বিষয়টি প্রবলভাবে বর্তমান।
অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা কিংবা জঙ্গিবাদ ছেড়ে সহিহ ইসলামে ফিরে আসার আহবান কোনটা কখন কার ক্ষেত্রে কাজে আসবে তা আগে থেকে হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে অন্ধকারে হলেও ঢিল ছুঁড়তে ত বাধা নাই। জঙ্গিবাদের সঙ্গে আদর্শ ও অর্থের সম্পর্ক বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে অর্থ পুরস্কারের এ ঘোষণা, কিংবা ফিরে আসার আহবানের মাধ্যমে কী হবে সেটা অনাগত ভবিষ্যতের হাতে। অর্থ ও আহবান এখানে মুখ্য নয়; জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারে কঠোর নীতি হোক প্রাথমিক ও প্রধান পদক্ষেপ!
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)