জয় মানেই সব কিছুতেই পরিবর্তন। পাল্টে যায় ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, রং পাল্টায় তাদের ড্রেসিংরুমের। হোম অব ক্রিকেটকে মনে হয় উৎসবের পাওয়ার হাউস। টাইগারদের জয়ের পর পোস্টম্যাচ প্রেস কনফারেন্সটাও হয়ে উঠে অন্যরকম। কখনও আবেগি, কখনও আক্রমণাত্মক।
দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পড়ুন তাদের পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সের হাইলাইটস।
প্রশ্ন: সৌম্য, অবশেষে ইনিংসটাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলেন, তাও আবার নটআউট। কি বলবেন আজ?
সৌম্য সরকার: ছোট থেকে বড়, গত কিছু দিন ধরে সবারই এক কথা ছিলো, ভাই তুমি দয়া করে শেষ করে এসো। আশা করি আমি সেটা করতে পেরেছি আজ (হাসি)। তবে আমার নিজেরও একটা ইচ্ছা ছিলো যেনো শেষ করে আসতে পারি। ফিফটি বা সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো চিন্তা করিনি।
প্রশ্ন: ক্যাপ্টেন, সমতায় ফিরে আসার পর এখন তাহলে সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জ সামনে?
মাশরাফি মর্তুজা: (হাসি) দেখুন, আমার দুইটা সন্তান আছে, একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে। তাদের দুজনকে মানুষ করাটাই আমার কাছে একমাত্র এবং সবচে বড় চ্যালেঞ্জ। এর চেয়ে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ আমার জীবনে নেই। পরের ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা সিরিজটা জিতবো, আমি এভাবেই চিন্তা করছি।
প্রশ্ন: আজকের জয়ের পর বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে তাহলে আর কোনো সন্দেহ থাকলো না?
মাশরাফি মতুর্জা: আজ থেকে ৮ মাস আগে কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কেউ কথা বলেনি। এখন কেনো এত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বলে হৈচৈ হচ্ছে আমি জানি না। আমি সেটা নিয়ে একদম ভাবি না। এখনও ভাবতে চাই না। কারণ সেটা অনেক দূরের বিষয়। আর ওটা যদি আমাদের ভাগ্যে থেকে থাকে আমরা খেলবো। পুরো বাংলাদেশের মতো আমাদের ভালো লাগবে। কিন্তু এখনই এটা নিয়ে কথা বলা এটা ‘জাস্ট টু মাচ’ আমাদের জন্য।
প্রশ্ন: মাশরাফি, সাউথ আফ্রিকাকে সব সময় ‘চোকার’ বলা হয়, আজ কি চোকারদের আসল চেহারাটা আরও ভালো করে দেখলো বাংলাদেশ দল?
মাশরাফি মতুর্জা: আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এভাবে কোনো জাতিকে আঘাত করা উচিত নয়। কারণ এসব শব্দ বা নামে ডাকলে তখন আসলে একটা পুরো জাতিকেই আঘাত করা হয়। আর তারা যখন বিশ্বকাপে গিয়ে ম্যাচ হারে তখন কিন্তু খুব বাজে ক্রিকেট খেলে হারে না। বরং ফেবারিট টিম হিসেবে খেলতে খেলতেই হারে। সুতরাং আমি তাদেরকে একটি শক্তিশালী ক্রিকেট জাতি হিসেবে দেখি, চোকার-টোকার বলতে চাই না।
প্রশ্ন: মাশরাফি, ম্যাচের আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট কি এমন বলেছিলেন, যে এভাবে সবাই উজ্জীবিত পারফর্ম করলেন?
মাশরাফি মতুর্জা: আমি বোর্ড প্রেসিডেন্টকে একটা ধন্যবাদই দেবো। কারণ সেদিন হয়তো অনেক কথাই শুনতে হয়েছে, বাট সবই আসলে পজেটিভ ছিলো। সৌম্যকে যেমন বলেছেন, ইনিংসটাকে লম্বা করতে হবে, মুশফিককে নির্ভার ব্যাটিং করতে বলেছেন। এবং সবাই তা পজেটিভভাবেই নিয়েছিলো। অন্তত আমি কাউকে দেখিনি বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথায় হতাশ হতে। তিনি আমাদের দলকে সাহস দিতেই ডেকেছিলেন।