মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে লেখা বই পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আফগানিস্তানের শিক্ষক সাঈদ আসাদুল্লাহ পোয়া ছেলের নাম রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ছেলের এই নামই বিপাকে ফেলেছে সাঈদ ও তার স্ত্রীকে। পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদসহ সাঈদকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
এনডিটিভি জানায়, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আফগানিস্তানের দাইকুন্দি প্রদেশে জন্মগ্রহণ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে লেখা ‘‘হাউ টু গেট রিচ” বই পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সাঈদ ছেলের নাম রাখেন ট্রাম্প। তিনি ভেবেছিলেন তার ছেলেও বড় হয়ে সফল হবে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবি দেখে সে খুশি হবে।
কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় যখন সাঈদের বাবা-মা নাতির অমসুলিম নাম রাখায় তাদের ছেড়ে চলে যায় এবং আত্মীয়-স্বজন সম্পর্ক ছিন্ন করে।
শুধু আত্মীয়-স্বজন নয়, নিজেদের তৃতীয় সন্তানের নাম ট্রাম্প রেখে সামাজিক যোগাযোগহ মাধ্যমেও ভীতি এবং সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এই দম্পতি। তারা ছেলেকেও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন বলে জানায় অনেকে।
আবার কেউ কেউ বলছে, চালাকি করে ছেলের নাম ট্রাম্প রেখে সাঈদ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে।
তবে এই অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে সাঈদ এএফপিকে বলেন, আমি শুরুতে ভাবতে পারিনি এই নাম নিয়ে দেশের মানুষ এতো বেশি স্পর্শকাতর হবে। এসময় দুই বছর বয়সী ট্রাম্প বাবার স্মার্টফোন নিয়ে খেলছিল।
তিনি বলেন, কেউ ছেলের ছবি অনলাইনে দিয়ে বিতর্ক আরো উসকিয়ে দেয়। এছাড়া তাকে ফেসবুক আইডি বন্ধের জন্যও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এমনকি শিয়া অধ্যুষিত যে এলাকায় তারা বসবাস করছে, সেখানকার লোকজনও তাদের এলাকা ছাড়তে বলছে বলে জানান সাঈদ। বলেন, আমি যখন বাইরে যাই তখন আমি ভয় অনুভব করি। পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে এখন শঙ্কিত সাঈদ। তবে এরপরও তিনি ছেলের নাম পরিবর্তনের পক্ষে না।
ছেলের অমুসলিম নাম রেখে তারা কোন আইন ভঙ্গ করেছে কিনা জানতে চাইলে কাবুলের জনসংখ্যা নিবন্ধন অফিসের উপদেষ্টা বলেন, ছেলের নাম যা খুশি তাই রাখার আইনগত অধিকার আছে তাদের, এমনকি সেটা আমেরিকার প্রেসিডেন্টও হতে পারে।