বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকরা পার করলেন স্বাধীনতার এক বছর। ‘আর নয় ছিটবাসী, আমরা সবাই বাংলাদেশী’ এমন শ্লোগান আর নানা উৎসবে গত রাত ১২টা ১ মিনিটে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন তারা।
নতুন ঠিকানা পাওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানান নতুন বাংলাদেশীরা।
দেখতে দেখতে অতিবাহিত হলো ৩৬৫ দিন। কয়েক যুগের বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি বছর। আর এ জন্য নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহল বাসিন্দাদের মাঝে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস।
ছিটমহলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দাসিয়ার ছড়া। রাত ১২টা ১মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বাজানো হয় দেশাত্ববোধক গান।
এলাকাবাসী বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবার পর পাল্টে গেছে তাদের জীবনমান। ভোটার আইডি কার্ড, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব – সবই পেয়েছেন এক বছরের মধ্যেই। শুধু তাই নয়, টানা ৬৮ বছর বিদ্যুতের আলো দেখতে না পাওয়া দাসিয়ার ছড়ায় এসেছে বিদ্যুৎ।
ছিটমহলের শিক্ষিতদের কোটাভিত্তিক চাকরির ব্যবস্থা করলে ৬৮ বছরের পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোর উন্নয়ন হবে বলেও মনে করেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশে সংযুক্ত হওয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ মিছিল করেন এলাকাবাসী।