ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ পাঁচ শীর্ষ নেতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যে অজ্ঞাতনামা চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহদী হাসান নোবেল।
এছাড়া হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রায়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ফয়েজউল্লাহ, ঢাকা মহানগরের সভাপতি জহরলাল রায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় এবং ঢাকা জেলার সভাপতি আরিফুল ইসলাম সাব্বিরকে হত্যার হুমকি দিয়ে অজ্ঞাতনামা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে পাঁচ নেতার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করুন, নয়তো আপনাদের হত্যা করা হবে। আমরা সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো।’
চিঠিতে এই নেতাদের অবিলম্বে ঢাবি ও জাবি ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বলা হয়, অন্যথায় তাদের হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন এ ধরণের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলসহ পাঁচ নেতাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে আব্দুল হালিম নামক এক ব্যক্তি। ভোলা জেলার চর ফ্যাশনের ঠিকানা উল্লেখ করে ডাকযোগে এই হুমকি দেয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায় এসে চিঠিটি পৌছালে পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ বিষয়ে শনিবার ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মেহেদী হাসান নোবেল।
মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ভোলা থেকে জনৈক আব্দুল হালিম গত ৭ জুলাই চিঠিটি পোস্ট করেছেন। ২১ জুলাই সেটি ঢাকার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে পার্টির অফিসে আসে। কিন্তু অনেক চিঠির ভাঁজের মধ্যে থাকায় সেটি কারও চোখে এতদিন পড়েনি।
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সংসদের শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ‘কে বা কারা এ হুমকি দিয়েছে এখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত নয়। তবে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে আসছি বিধায় আমাদের উপর মৌলবাদীদের আলাদা দৃষ্টি থাকতে পারে। আগামীকাল থানায় জিডি করার পর আমরা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা চাইবো।’
ঢাবি ও জাবি ক্যাম্পাস ছাড়ার হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাস আমরা কেন ছাড়বো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রত্যেকেরই ক্যাম্পাসে থাকার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।’