পহেলা বৈশাখের উৎসবে নারী লাঞ্চনার ঘটনায় দোষীদের মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে গ্রেফতার এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা। স্মারকলিপি গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ছাত্রনেতারা ওইদিনের ঘটনা যেভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সেরকম কিছু এখনো পাওয়া যায়নি।
বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারীদের উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরেই কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন। সকালে টিএসসি মোড়ে সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গেলে প্রেসক্লাবের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। কিছু সময় বিক্ষোভ করার পর দাবি আদায়ে রাত বারোটা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপি জমা দিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে কোনো বিচার না হওয়ায় আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করছি তিনি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার করবেন।’
স্মারকলিপি গ্রহণ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, সিসি ক্যামেরার ছবির মাধ্যমে দোষীদের সনাক্ত করতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে এ ধরণের কোনো ঘটনার দৃশ্য পাওয়া যায়নি।
এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাউকে সন্দেহ হলেই গ্রেফতার করা ঠিক নয়। কারণ এটি এমন একটি ঘটনা যে নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার করলে সে সারাজীবন কলঙ্কের বোঝা বয়ে বেড়াবে। এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কারো কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য বা ছবি থাকলে তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিএমপি কার্যালয়ে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।