নিহত ছাত্রলীগ নেতা মো. আরজু মিয়াকে র্যাব বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ।
হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু নিহত হওয়ার একদিন পরে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আরজুর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক হামিদ সাজু, থানার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াফেজ আহমেদ সামি, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম সজিব উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন আরজুর পরিবারের সদস্যরাও।
ছাত্রলীগ নেতা আরজুর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে কল্পকাহিনী আখ্যায়িত করে এতে জড়িত র্যাবের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক হামিদ।
সংবাদ সম্মেলনের আরজুর বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, “আমার ভাইকে সন্ত্রাসী বলবেন না। তার অপরাধ, সে বড় নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখত। সে সব সময় মানুষের সেবা করত।”
হত্যার অভিযোগে র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে বলতে পারব।”
মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে মোহাম্মদ রাজা নামে এক কিশোরকে মঙ্গলবার হাজারীবাগের গণকটুলী এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই কিশোর আরজুর প্রতিবেশী। আরজুই ওই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিযোগ তুলে রাজার বোনের মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজারীবাগের বড়ইখালী এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় আরজু।