চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ছাত্রলীগের কাউন্সিল: সমঝোতায় ব্যর্থ হয়ে গণভবনে নেতৃৃবৃন্দ

ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়স জটিলতায় সমঝোতা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির দুই শীর্ষ নেতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে গণভবনে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার ছাত্রলীগের ২৯তম অধিবেশন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এবং ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়স ২৭ বছর কিন্তু সম্মেলন ১০ মাস বিলম্ব হওয়ায় এক বছর গ্রেস দিয়ে ২৮ করা হলো।

প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে গণভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের এমন কয়েকজন নেতা। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বয়স আরও এক বছর বাড়ানোর দাবি করেন।

ওই সভা শেষে একাধিক নেতা শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বয়স ২৮ বছর ৩৬৪ দিন করা হয়েছে।

এরপর ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশন শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার পরে শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী বয়স ২৮ বছর ধরে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুর রহমান লিমনের ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করে।

১৯৯০ সালের ১১ মের আগে যাদের জন্ম তাদের প্রার্থীতা বাতিল করে তালিকাও প্রকাশ করে।

কাউন্সিল সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ২য় অধিবেশন শুরু হলে লিমন আবারও ঘোষণা দেন, যাদের বয়স ১৯৯০ সালের ১১ মে’র পরে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু একটি পক্ষ ২৮ বছর ৩৬৪ দিনের পক্ষে অবস্থান নেয়। এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন স্থলে এসে বলেন, যেহেতু কোনো সমঝোতা হচ্ছে না, তাই গণভবনে যাওয়া উচিৎ।

এরপর তারা বিদায়ী সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনকে নিয়ে গণভবনে যান।

জানা গেছে, গণভবনে সমঝোতার পর সম্মেলন স্থলে এসে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।