যশোরের চৌগাছায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
তাদের অভিযোগ, একটি কোম্পানির ঔষধ ব্যবহারের পর পরই এলাকার প্রায় ১০ বিঘা জমির বাগানে পেয়ারায় মড়ক দেখা দেয় । গত ১০ দিনে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার পেয়ারা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার মনমতপুর গ্রামের পেয়ারা চাষী হাশেম আলী দুই একর জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলেন পেয়ারা বাগান। সম্প্রতি ইওন এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধির পরামর্শে ক্ষেতে ছত্রাকনাশক ইজেব, নোভা ও ছক্কা স্প্রে করেন তিনি।
প্রথম দফায় গাছের পেয়ারা সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় স্প্রে করার পুরো ক্ষেতের পেয়ারায় পঁচন ধরে।
আবুল হাশেমের মতো একই অবস্থায় পড়েছেন জেলার অনেক পেয়ারা চাষি।
পেয়ারা চাষিরা বলছেন, তারা সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরণ চান। ক্ষতিগ্রস্ত পেয়ারাক্ষেত পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার বলেন, ‘এ গবেষণা ছাড়া কিছু বলা যাবে না, ধারণা করা হচ্ছে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাতে সঠিক মান ও উপাদান ছিল না। এমনকি কোম্পানীর ওষুধের মেয়াদও নাও থাকতে পারে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইওন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
ইওন এ্যাগ্রো ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেডের সেলস অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, এটা এক প্রকারের অ্যানথাক্স রোগ, প্রথমে বাগান থেকে পেয়ারাগুলো কেটে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। এরপর আমাদের কথা মতো সঠিক কাজ করলে আমরা চাষিদের পেয়ারার দায়িত্ব নিতে পারি।
বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।