ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলছে। লড়ছে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডে ম্যাচ এটি। উৎসবের দিনে মাঠে নেই স্বাগতিক বাংলাদেশই। অথচ চাইলেই রাখা যেত মাশরাফী-সাকিবদের ম্যাচ। সেটি না হওয়ায় দর্শক-ক্রিকেটার সবার মাঝেই আক্ষেপের সুর। নাজমুল হাসান পাপনও বললেন বাংলাদেশের ম্যাচ হলে ভাল হত। তবে আপাতত ভেন্যুর উদযাপনের চেয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিসিবি সভাপতির কাছে।
সিরিজের সূচি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই (বিসিবি)। সুযোগ থাকার পরও কেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ মিরপুরের শততম ম্যাচে নিজ দেশকে রাখল না, অবধারিতভাবেই সেই প্রশ্ন ধেয়ে গেল বোর্ড সভাপতির দিকে। তাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঢালই হলেন দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান।
‘একেক সময় একেকটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। এ মুহূর্তে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটা জেতা। আমরা এখন পর্যন্ত ট্রাইনেশন্স বা একাধিক টিম খেলেছে এমন কোন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হইনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে ২ রানের জন্য জিততে পারিনি। আমাদের একটা আক্ষেপ আছে। এবার একটা সুযোগ আছে। যদি চ্যাম্পিয়ন হয়ে বছরটা শুরু করতে পারি, এরচেয়ে সুন্দর জিনিস আর কিছু হয় না। আসল মনোযোগ এই সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচও দেশের মাটিতে হয়নি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১০০ টেস্ট খেলার বৃত্ত পূরণ করে এসেছে বাংলাদেশ। ভিনদেশে ম্যাচ হওয়ায় উৎসব করতে পারেনি সফরকারীরা। তবে ম্যাচটি জিতে ঠিকই গৌরবে রাং চড়িয়েছে টাইগাররা। নতুন বছরের শুরুতে আরেকটি উৎসবের উপলক্ষ, কিন্তু টাইগার ক্রিকেটাররা সেদিন মাঠেই নেই। দর্শকও টানতে পারেনি হোম অব ক্রিকেটের গ্যালারি। ২৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে ৫০০ দর্শকও খেলা দেখতে আসেনি।
দিনটা যে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল সেটি বিশ্লেষণ করেই বললেন নাজমুল হাসান। ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে না দেখে তার যে খারাপ লেগেছে সেটিও বোঝা গেল, ‘এই শততম ওডিআইতে বাংলাদেশের খেলাও রাখতে পারতাম। আমরা শততম টেস্ট ম্যাচটাও বাইরে খেলেছি। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে। আজকেরটা ভেন্যুর ওপর দিয়ে গেছে। শততম ওয়ানডে যথেষ্ট তাৎপর্য রাখে। প্রথম খেলাটা হয়েছিল সেটাতে জিম্বাবুয়ে ছিল। ওদের দলে মাসাকাদজা ছিল, আজকেও আছে। তবে বাংলাদেশ হলে আরও ভাল হতো।’
বিশ্বের ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে একশ ওয়ানডে ম্যাচ পূর্ণ করেছে মিরপুর স্টেডিয়াম। সেঞ্চুরি পেতে স্টেডিয়ামটির সময় লেগেছে ১১ বছর। যা বিশ্বের অন্য একশ ছোঁয়া স্টেডিয়ামগুলোর থেকে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ড। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু করেছিল স্টেডিয়ামটি। টাইগারদের ম্যাচ বেড়েছে। খেলার মান বেড়েছে। হোম অব ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচ হতে হয়ত সময় আরও কমই লাগবে। বোর্ড সভাপতিও বললেন সেটাই।
‘যেভাবে চলছে তাতে ২০০ ম্যাচ হতেও খুব বেশিদিন লাগবে না।’ নাজমুল হাসানের উপলব্ধি।