জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে রাজশাহীকে ১৫৫ রানে হারিয়ে অবনমন এড়িয়েছে রংপুর বিভাগ। ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় একশর আগেই। হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে চলে গেছে তারা। আগামী বছর রাজশাহীকে খেলতে হবে দ্বিতীয় স্তরে।
রাজশাহীকে ৯৩ রানে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন রংপুরের পেসাররা। আলাউদ্দিন বাবু ও আরিফুল হক নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন সাজেদুল ইসলাম। লেগস্পিনার তানবীর হায়দার নিয়েছেন একটি উইকেট।
স্কোর: রংপুর-২৭৪ ও ২২৮/৬ (ইনিংস ঘোষণা), রাজশাহী-২৫৪ ও ৯৩
প্রথম ইনিংসে ২০ রানের লিড পাওয়া রংপুর তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তানবীর হায়দার ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। ২ রানের জন্য ফিফটি পাননি আরিফুল হক (৪৮)।
রাজশাহীর চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচে নামে রংপুর। আসর শেষে তৃতীয় হওয়া রংপুরের অর্জন ২১.৪৬ পয়েন্ট। রাজশাহীর ১৮.৬৫।
প্রতিপক্ষের হোম গ্রাউন্ডে রাজশাহীকে তারা গুটিয়ে দেয় ২৫৪ রানে। ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন মিডিয়াম পেসার আরিফুল। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠে গেছে সিলেট। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী নেমে গেছে দ্বিতীয় স্তরে।
জাতীয় লিগ খেলে আট দল। শিরোপায় চোখ থাকে মাত্র দুটি দলের। শক্তির বিচারে খুলনা ও রাজশাহী অন্যদের তুলনায় এতটাই এগিয়ে যে শিরোপার দাবিদার তাদেরই ধরা হয়। জাতীয় লিগের রোল অব অনার দেখলেই স্পষ্ট হবে সেটি। খুলনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাতবার ও রাজশাহী ছয়বার।