চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চ্যানেল আই পরিদর্শনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত

চ্যানেল আই পরিদর্শনে এসেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কার্যালয় পরিদর্শন।

চ্যানেল আই ভবনে এসে পৌঁছালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কৃষি উন্নয়নে চ্যানেল আইয়ে ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি চ্যানেল আই পরিদর্শন ও শাইখ সিরাজের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ইচ্ছে ছিলো বলেও জানান।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান বার্নিকাট।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান তিনি।

পরিদর্শনকালে তিনি চ্যানেল আইয়ের বিশেষ আয়োজন ‘উইথ শাইখ সিরাজ’ অনুষ্ঠানের জন্য চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজকে বিশেষ সাক্ষাতকার দেবেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিন এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক, স্টুডেন্ট ভিসা সহজ করাসহ বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনাও চ্যানেল আই পরিদর্শন করে একই অনুষ্ঠানে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন।

পেশাদার কূটনীতিক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বাংলাদেশে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানব সম্পদ বিষয়ক ব্যুরোতে উপ-সহকারি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশে দায়িত্ব নিতে ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হয়ে আসার আগে তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেনেগাল ও গিনি-বিসাউয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের আগেও দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। অফিস ডিরেক্টর হিসেবে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

এছাড়াও ভারতের নয়া দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেপুটি পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেন।