বাংলা সংগীতের শক্তি সবার কাছে পৌঁছে দিতে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে প্রতি বছরই বসে বাংলা খেয়াল উৎসব। এবার বসলো উৎসবের এর ৫ম আসর। চ্যানেল আই ভবনে সন্ধ্যায় শুরু হওয়া রাতব্যাপী এ উৎসব চলবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া রাতব্যাপী আয়োজনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের তত্ত্বাবধানে বরেণ্য শিল্পীসহ দেশের প্রায় ২শ’ ক্ষুদে শিল্পী অংশ নিয়েছেন চ্যানেল আই ইস্পাহানি বাংলা খেয়াল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চ্যানেল আই ভবনেও। শুভ্র পোশাকে এদিন দুপুর থেকেই চ্যানেল আইয়ে আসতে থাকেন ক্ষুদে ও নবীন-প্রবীন শিল্পীরা। বাংলা খেয়াল নিয়ে সবার মনে উচ্ছ্বাস। ক্ষুদে শিল্পীদের সঙ্গে আসতে দেখা গেছে তাদের অভিভাবকদেরও।
আসরটি বরাবরের মতো সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়। উৎসবটির প্রযোজক হিসেবে আছেন অনন্যা রুমা। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতভর ১০টি দলে ১০০ জন শিল্পীর পরিবেশনা রয়েছে।
উৎসবের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি বাংলা সঙ্গীতের উৎকর্ষকে সবার কাছে, সার্বজনীনভাবে পৌঁছে দিতে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫ম এই আসর। আমরা আশা করছি এর মধ্য দিয়ে বাংলা খেয়ালের আরো অনেক বেশি উৎকর্ষ সাধিত হবে, প্রতিটি সংগীত পিপাসু মানুষের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য হবে।
এরআগে বাংলা খেয়াল উৎসব নিয়ে চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান বলেছিলেন, বাংলা খেয়াল উৎসবের সবচেয়ে বড় দিকটি হলো বিভিন্ন সংগীত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন এ উৎসবে। শুদ্ধ সংগীত বিকাশে উচ্চাঙ্গ সংগীত ও খেয়াল কাজ করে যাচ্ছে। এটি সংগীতের এমন শাখা যার সাথে সাধারণ দর্শকের সরাসরি সম্পৃক্ততা অনেক কম। চ্যানেল আই সেই সম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে বাংলা খেয়াল নিয়ে উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান মনে করেন, মুক্তবুদ্ধি আর বিবেচনাবোধ তৈরী করতে সংগীতকর্মে এর থেকে বড় আর কিছু নেই। কারণ পুরো উপমহাদেশের সব গানেই ক্লাসিকেলের প্রভাব রয়েছে।