মিয়ানমার থেকে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত্ব রোহিঙ্গা নারী আয়েশা তার পেটের পীড়া নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন ৩ মাস। একই রকম সমস্যা নিয়ে ১ মাস কষ্ট পাচ্ছেন আরেক রোহিঙ্গা নারী মরজিনা। আয়েশা মরজিনারা খুবই খুশি চিকিৎসা আর ওষুধ পেয়ে। এ রকম ৩শ’রোহিঙ্গা রোগীকে চিকিৎসা আর ওষুধ দিয়েছে চ্যানেল আই এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প থেকে।
দেশের প্রথম ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল আই এর ২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত্ব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প এর আয়োজন করে আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম কক্সবাজার। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের সহযোগীতায় উখিয়ার খাই্যংখালী জানজিমার খোলা ১৩ নং ক্যাম্পে এ ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন,উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকারুজ্জামান চৌধুরী। ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে জানজিমার খোলা ১৩ নং ক্যাম্পে ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখেন।
ক্যাম্পে আসা রোগীদের ফ্রি ওষুধ ও সরবরাহ করা হয়। চিকিৎসা নিতে আসা রোহিঙ্গা নারী আরিফা বিবি বলেন, এর আগে এভাবে যত্ন নিয়ে ক্যাম্পের কোন চিকিৎসক আমাদের দেখেনি। তিন সপ্তাহ নিয়ে ফ্রি ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৫৫ বছরের রোহিঙ্গা নাগরিক হাবিব উল্লাহ বলেন, এখানে এসে ডাক্তার দেখানোর পর অনেক ভাল লাগলো।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, চ্যানেল আই একটি স্বানামধন্য টিভি চ্যানেল হয়ে ও মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে। জন্মদিনের আনন্দকে সারা পৃথিবীর শরণার্থী, সারা পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষদের কল্যাণে ব্যয় করেছে এবং তাদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে। সব সময় যেন তারা এ কাজ টি করেন,সে প্রত্যাশা করছি।
উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মান্নান বলেন, এ ধরনের মানবিক কাজ চ্যানেল আই এর জনপ্রিয়তা আর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দেবে।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের প্রকল্প সন্ময়কারী এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, চ্যানেল আই এর একটি ভালো উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে ভালো লাগছে।
আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম কক্সবাজারের সভাপতি রইচ উদ্দিন বলেন, জন্মদিনের আনন্দ আমরা এসব দেশ আর গৃহহারা মানুষ গুলোর কল্যাণে ব্যায় করতে পেরে ভালই লাগছে।
দিনব্যাপী চলা এ ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নানা বয়সের মানুষদের চিকিৎসার পাশাপাশি ঔষধ সরবরাহ করা হয়।