পাকিস্তান সফরে টেস্ট দলে ইমরুল কায়েস বিবেচিত হননি চোটের কারণে। বাংলাদেশ দল পাকিস্তান রওনা হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পেলেন মাঠে ফেরার অনুমতি।
বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী ধারণা করেছিলেন কাফ মাসলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সেরে উঠতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন। তার আগেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ইমরুল। একই ধরনের চোট নিয়ে বিসিএলের প্রথম রাউন্ড খেলতে না পারা মুশফিকুর রহিমও পেয়েছেন খেলা শুরুর অনুমতি।
মঙ্গলবার দুপুরে মুশফিক ও ইমরুল বিসিবির ফিজিও-ট্রেনারদের তত্ত্বাবধানে ফিটনেস টেস্ট দেন। উতরে যান দুজনেই।
দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘মুশফিক এবং ইমরুল কাফ মাসলে হ্যামস্ট্রিং সমস্যা নিয়ে কিছুদিন ধরে ভুগছিল। এরমধ্যে ওদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও চলছিল। মুশফিকের ইনজুরিটা গ্রেড-ওয়ান হওয়াতে আমরা আশা করছিলাম ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সুস্থতা ফিরে পাবে। ইমরুলের ইনজুরিতে ধারণা ছিল আরও বেশি সময় লাগতে পারে, অন্তত সপ্তাহখানেক। সন্তোষজনক ভাবে ফিটনেস টেস্টে ওরা উতরে গেছেন এবং দুজনই খেলার জন্য ফিট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। এখন থেকে তাদের খেলার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ড খেলতে পারেননি মুশফিক ও ইমরুল। পাকিস্তান সফর থেকে মুশফিক নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় আর ইমরুল স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়ায় তারা খেলবেন বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে। নেবেন এ মাসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি।
হাতের কব্জিতে চোট থাকায় পাকিস্তানে যেতে পারেননি টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম। কাঁধে চোট পাওয়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও ভুগছেন। সাউথ আফ্রিকায় যুব বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন। দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।