চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চোখের জলে বাংলাদেশের বিদায়

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া এবং কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ দলের যে স্বপ্নযাত্রা চলছিলো তা থমকে গেলো সেমিফাইনালে। ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ উইকেটের বড় পরাজয়েই স্বাগতিকদের অর্জন শুধু একধাপ অগ্রগতিতেই রুদ্ধ হলো। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মতো বড় কোনো আসরের সেমিফাইনাল খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের ফাইনালে খেলার প্রত্যাশা চূর্ণ হলো ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলিং এবং অধিনায়ক শিমরন হেটমিয়ারের ৬০ রান, স্প্রিঙ্গারের অর্ধশতকসহ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীলতায়।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা মিরাজ বাহিনী সবকটি উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২২৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়েই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ২৩০ রান করে ক্যারিবীয়রা।

পঞ্চম ও সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মিরাজের দুই শিকারে যে উল্লাস জেগেছিলো তা স্তিমিত হয়ে যায়। পরে আবারও ৩৮ তম ওভারে সালেহ আহমেদ শাওন তার ঘূর্ণি মায়াজালে জিড গুলি এবং কিমু পলকে ফিরিয়ে ঝিমিয়ে যাওয়া গ্যালারিতে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন। কিন্তু ১৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর পরবর্তী উইকেট পরে  জয় থেকে ১০ রান দুরে থাকতে।

বিশ্বকাপের আগেই এক সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলকে হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি টাটকা থাকায় বাংলাদেশ দলের জয়ের পাল্লাই ছিলো ভারি। এছাড়াও যুব বিশ্বকাপেই তিনবারের দেখায় দুইবার জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। অনুকূল এতো পরিসংখ্যানের পরও খেলাটা যে মাঠেই দেখাতে হয়। আর সেখানেই চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিলো জুনিয়র টাইগাররা। দৃষ্টিকটূ কিছু মিস ফিল্ডিং মাঠের খেলাতে আধিপত্য বিস্তার করেই জয়ী হলো ক্যারিবীয়রা।  

অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে রুখে দাড়ানো ইনিংসের পর বল হাতেও উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান। অলরাউন্ডার ভূমিকায় দুর্দান্ত নৈপূণ্য দেখানোর পরও সেমিফাইনালেই থমকে যেতে হলো বাংলাদেশকে।  সালেহ আহমেদ শাওন ৩ টি এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ২ টি উইকেট শিকার করেন।

পেস বোলিং আক্রমণের সামনে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল ২২৬ রান সংগ্রহ করে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৮৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেয়। মিরাজ ৭৪ বলে ৬০ রান, সাইফুদ্দিন ৫৫ বলে ৩৬ রান এবং জয়রাজ শেখ ৫৪ বলে ৩৫ রান করে দলকে দুইশো পেরোনো ইনিংস দেন।

ক্যারিবিয়ান চার ফাস্ট বোলারের আক্রমণে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জুনিয়র টাইগাররা। বাংলাদেশের নয়টি উইকেটই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন দ্রুতগতির বোলাররা। তিন স্পিনার হাত ঘোরালেও সফল হতে পারেননি কেউ। পেসার কিমু পল তিনটি উইকেট, হোল্ডার ও স্প্রিঙ্গার দুইটি করে উইকেট এবং জোসেফ ও জন একটি করে উইকেট শিকার করেন।