ইউক্রেন ইস্যুতে সাত রাশিয়ান ধনকুবেরের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। যার মধ্যে আছেন চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচও। বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দেশটি।
সম্পদ জব্দ করাদের তালিকায় আব্রামোভিচ ছাড়াও আছেন ইগর সেচিন, ওলেগ ডেরিপাস্কা, আন্দ্রে কোস্টিন, অ্যালেক্সি মিলার, নিকোলাই টোকারেভ ও দিমিত্রি লেবেদেভ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকেই দেশটির নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউকে। আব্রামোভিচ শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিলেন। কদিন আগে তাই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি বিক্রির কথাও জানান। চেলসির মালিকানা হস্তান্তরের আগেই জব্দ করা হল তার সম্পদ।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘যারা ইউক্রেনে পুতিনের নৃশংস হামলাকে সমর্থন করেছে, তাদের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল থাকতে পারে না। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইউক্রেনের জনগণের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থনের সবশেষ পদক্ষেপ। যারা বেসামরিক লোকদের হত্যা, হাসপাতাল ধ্বংস ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত করে, আমরা তাদের উপর নির্মম হবো।’
ইংল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে এমন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, আব্রামোভিচের তাই তড়িঘড়ি ছিল ক্লাব বিক্রির। সেই প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখতে পারলে না এ রাশান। তার সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে চেলসির উপর, এমনই বলছেন দেশটির ক্রীড়া বিষয়ক সেক্রেটারি অফ স্টেট নাদিন ডরিস।
‘নিষেধাজ্ঞাগুলো স্পষ্টতই চেলসি ও তার ভক্তদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্লাব ও জাতীয় খেলা যাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
‘চেলসি ক্লাব প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে ও পরিচালনা করতে পারবে, সেটি নিশ্চিতের জন্য আমরা একটি বিশেষ লাইসেন্স দিচ্ছি। যাতে চেলসি খেলার সূচিগুলো পূরণ করতে ও কর্মীদের অর্থ দিতে পারে। তবে আব্রামোভিচকে ক্লাবের মালিকানা থেকে উপকৃত হওয়া বন্ধ করা হবে। ফুটবল ক্লাবগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পদ ও সম্প্রদায়ের ভিত্তি, আমরা ক্লাব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’