সাগরিকায় আসলেই মুমিনুল হক সৌরভের ‘সৌরভ’ যেন বেড়ে যায়। ক্যারিয়ারের আট শতকের ছয়টিই বন্দর নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে সবশেষ সেঞ্চুরিটি হাঁকালেন এই মাঠে।
বাংলাদেশ: ২১৬/৩ (চা বিরতি)
মুমিনুল এদিন ১৩৫ বলে শতকে পৌঁছান। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে প্রথমে ১০৪ রানের জুটি গড়েন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৪৮ রান। সাকিবের সঙ্গেও বড় জুটি গড়ার পথে রয়েছেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ফেরেন সৌম্য। বারকয়েক জীবন পেয়েও থাকতে পারেননি ইমরুল। যতক্ষণ ছিলেন, এতটুকু সাবলীল মনে হয়নি তাকে।
সৌম্য এদিন প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন। কেমার রোচের অফস্টাম্পের বাইরের বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে চলে যায়। এক বছর পর সাদা পোশাকে খেলতে নেমে শূন্য রানে আউট হতে হয় এই ওপেনারকে।
লাঞ্চের ঠিক আগে ইমরুল শর্টলেগে ক্যাচ দিয়ে পথ ধরেন। যাওয়ার আগে ৮৭ বলে ৪৪ করে যান। এরপর মিঠুন ৫০ বলে ২০ করে বিদায় নেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই পেসার নিয়ে নামলেও বাংলাদেশ খেলাচ্ছে এক পেসার। সঙ্গে চার স্পিনার।
এক সিরিজ পর টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরেছেন সাকিব। তার খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও তা কেটে গেছে। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলেন সবশেষ সিরিজ। একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে এবার ঘরের মাঠে ফেরা তার।
জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে থাকলেও খেলা হয়নি নাঈমের। বছরের শেষ দিকে জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে এক ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে আবার টেস্ট দলে ডাক পান চট্টগ্রামের ছেলে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই উইকেট নিয়ে দেন আস্থার প্রতিদান। এরপর ঘরের মাঠেই অভিষেক। নাঈম বাংলাদেশের ৯৩তম ক্রিকেটার যার মাথায় উঠল টেস্ট ক্যাপ।