চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চীন থেকে হংকং গেলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন নীতি অনুসরণ করছে হংকং। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা যে কোনো ব্যক্তিকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বা পৃথক স্থানে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটি।

বিবিসি জানিয়েছে, নতুন নিয়মের অধীনে, চীনা নাগরিকরা হংকংয়ে গেলে প্রথম ১৪ দিন নিজেদের নিজ নিজ হোটেল রুমে বন্দী রাখতে হবে অথবা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার শরণাপন্ন হতে হবে। আর হংকংয়ের অধিবাসীরা চীন থেকে নিজ দেশে ফিরে এলে তাদেরকে দুই সপ্তাহ নিজ নিজ ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।

এ নিয়ম ভঙ্গ করলে জেল-জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবার দিন শেষ পর্যন্ত হিসাবে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭২২ জনের। চীনে বিয়ে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানসহ সবধরনের ভোজ-উৎসব নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।

সংক্রমণের শুরু যেখানে, সেই হুবেই প্রদেশে লোকজনের বাইরে বের হওয়া নিরুৎসাহিত করতে বহুতল ভবনগুলোর লিফট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

এ পর্যন্ত হংকংয়ে ২৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় মৃত্যু দেখেছিল হংকং। এখনো নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি দেশটিতে।করোনা ভাইরাস-চীন থেকে হংকং

এতদিন চীনের সাথে সীমান্ত বন্ধসহ সব ধরনের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে হংকংয়ের প্রশাসন। বুধবারও প্রায় ৯ হাজার মানুষ চীন থেকে হংকংয়ে প্রবেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার জনে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত হংকংয়ের সীমান্তবর্তী চীনা শহর শেনজেনে হাজার হাজার ভ্রমণকারীকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাই আবারও নতুন করে এ কড়াকড়ি আরোপ।

চীনের বাইরে হংকংসহ অন্তত ২৫টি দেশে ২৭০ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। হংকং ছাড়া ফিলিপিন্সে করোনায় মারা গেছেন একজন। জাপান ইয়োকোহামা বন্দরে উপকূলের কাছে অবস্থান করা প্রমোদতরীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে।করোনা ভাইরাস-চীন থেকে হংকং

তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছুটা শুভ বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত দুই দিনে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

কিন্তু চীনে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান টেডরস গোবিয়াসেস জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপী গাউন, মাস্ক ও গ্লাভসের মতো আবরণী চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।