পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন: চীনের সিনোফার্মের কোভিড ভ্যাকসিনের ৭৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৭ কোটি) ডোজ কেনার আদেশ দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এর থেকে ১৫ মিলিয়ন ডোজের অর্থ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন: আমরা সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন কেনার আদেশ দিয়েছি, এরমধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডোজের জন্য অর্থ পাঠিয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: এছাড়াও ভ্যাকসিন কেনার পাশাপাশি কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের আওতায় ঢাকা আগামী সপ্তাহে ৩৪ মিলিয়ন ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন এবং এ মাসের শেষের দিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ পাবে।
তিনি বলেন: এছাড়াও কোভ্যাক্স’র অধীনে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ফাইজারের আরও ৬ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে। ভ্যাকসিন জোট গ্যাভির মাধ্যমে বিশ্বে ভ্যাকসিনে সুষম বন্টনের লক্ষ্যে কোভ্যাক্স (বৈশ্বিক জোট) ভ্যাকসিন বিতরণ করে আসছে।
“আমরা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে একটি ভালো অবস্থানে রয়েছি, আমরা আমাদের জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেককে টিকা দিতে চাই” এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: বর্তমানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে বিভিন্ন ধরণের কোভিড ভ্যাকসিনের ১২.৩ মিলিয়ন ডোজ রয়েছে।
দেশের বেশিরভাগ লোককে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য ভ্যাকসিনের সহউৎপাদন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে মোমেন বলেন: চীনের সাথে সহ উদ্যোগে ভ্যাকসিন উৎপাদনে যেকোন সময় অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।
তিনি বলেন: চীন গত ১৬ জুলাই এখানে বাংলাদেশি স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যালের সাথে সিনোফার্মেও ভ্যাকসিন সহউৎপাদনের জন্য সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়া পাঠিয়েছে।
মোমেন বলেন: আমরা এটিকে (এমওইউ) সঠিক উপায়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয়ও খসড়া চুক্তিটি পরীক্ষা করেছে। সবকিছু (এমওইউ) ঠিক আছে, যেকোন সময় তারা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে।
এর আগে ড. মোমেন নিশ্চিত করেন যে: চীনা সিনোফার্ম বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইনসেপটার সাথে সহউৎপাদনে যাবে। বাংলাদেশ সরকার, ইনসেপটা এবং চীনের সিনোফার্ম এই তিন পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: চূড়ান্ত এমওইউ প্রস্তুত করতে বিলম্ব করা উচিত নয়, কারণ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর এখানে সহউৎপাদন শুরু করতে দুইমাস সময় লাগবে।
এখানে রাশিয়ান ভ্যাকসিনের সহউৎপাদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের তৃতীয় ওয়েভে আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে মস্কো প্রশাসন ধীরে ধীরে কাজ করছে।