চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১০ গুণেরও বেশি

চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১০ গুণেরও বেশি বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর নেতাদের সাথে চীনের জিলিন প্রদেশের ২১ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশ গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) চীনে ৯৪৯ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও একই সময়ে চীন থেকে ১০ হাজার ১২৮ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেই হিসাবে চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১০ গুণেরও বেশি।

বাংলাদেশ চীনে ওভেন গার্মেন্টস, চামড়াজাত, নীটওয়্যার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, ফ্রোজেন ফুড এবং প্লাস্টিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী রপ্তানি করে। আর চীন থেকে মুলত টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী আমদানি করা হয়।

বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। গত দুই বছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে চীনা ব্যবসায়িদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামো খাত, যন্ত্রপাতি তৈরি, হালকা প্রকৌশল শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স ও বস্ত্র খাতে চীনের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের অনেক সুযোগ আছে।

বাংলাদেশ ‘আসিয়ানভুক্ত দেশসহ দক্ষিণ-এশীয় দেশগুলোর প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে শফিউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এবং চীন যৌথভাবে এ ভৌগোলিক অবস্থানের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে।

এ সময় ২১ সদস্যবিশিষ্ট চীনা বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতা ও জিলিন প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের উপ-পরিচালক সান গুওহুয়া বলেন, চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য অনেকগুণ বেড়েছে। তিনি জিলিনের কৃষি এবং শিল্প খাতে বিশেষভাবে গাড়ি নির্মাণ শিল্প এবং ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফ ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।