আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরুর আগেই চীনের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা পাস করতে যাচ্ছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। সেখানে নিম্ন-মধ্যম আয়ের কোম্পানিগুলোকে উন্নত অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে দেশগুলোর নেতারা।
এবছর যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই শনিবার এক বিবৃতিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা চালিত বিল্ড বেটার ওয়ার্ল্ড (বি৩ডব্লিউ) পরিকল্পনাটি অনুরূপ চীনা পরিকল্পনার ভালো বিকল্প হতে পারে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নামে চীনের একটি প্রকল্প আছে। এর আওতায় তারা রেলপথ, সড়কপথ এবং বন্দর নির্মাণে বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করে।
বিবৃতিতে জি-৭ নেতারা জানিয়েছেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তারা উচ্চমানের এবং স্বচ্ছ অংশীদারিত্ব প্রস্তাব দেবেন। তবে এই প্রকল্পের অর্থায়ন কীভাবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে এসেছিল চীনের জিনপিং প্রশাসন। যার মাধ্যনে একাধিক গরিব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল তারা।
২০১৭ সালে চীনের সংবিধানে যুক্ত হয় এই প্রকল্প। ২০৪৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বেইজিং। চীনের সেই প্রকল্পের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমরে জি-৭ এর সহযোগিতায় আমেরিকার বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড।
গতকাল শুক্রবার জি-৭ দেশগুলো ঘোষণা করেছে, সারা বিশ্বকে ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ় তুলে দেবে তারা। যার ৫০ কোটি ডোজ়ের ব্যবস্থা করবে একা আমেরিকা। বাকি ১০ কোটি দেবে ব্রিটেন।
সেখানকার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ব্রিটেনে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে টিকাকরণ হয়েছে। আমরা দেশের অতিরিক্ত প্রতিষেধক অন্যান্য দেশের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।