শুরুর আগে হয়ত ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা হয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংসের এলিমিনেটরের ম্যাচে জমজমাট লড়াই হবে। কিন্তু মাঠে দেখা মিলল একতরফা ম্যাচের। যাতে মুশফিকুর রহিমের চিটাগংকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুযোগ করে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা। ভাইকিংসদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে ডায়নামাইটসরা।
ঢাকা ফাইনালে চোখ রাখতে আরেকটি সুযোগ পাবে, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পরীক্ষায় তারা খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে আসা দলের বিপক্ষে। তথা, রংপুর ও কুমিল্লার মধ্যকার হারা দলের বিপক্ষে খেলবে ঢাকা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে চিটাগং। জবাবে ২০ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ঢাকা।
বল হাতে চিটাগংকে ধসিয়ে দেয়ার পর ব্যাট হাতেও দলকে দারুণ শুরু এনে দেন সুনিল নারিন। উপুল থারাঙ্গাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে প্রথম সাড়ে চার ওভারেই এনে দেন ৪৪ রান।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে খালিদ আহমেদকে উড়িয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান নারিন। ১৬ বলের ইনিংসেই ঝড় তুলেছিলেন ক্যারিবীয় তারকা। তার ৩১ রানের ইনিংসে ছয়টি চার ও এক ছক্কার মার।
নারিন আগ্রাসী থাকলেও অনেকটা রয়েসয়ে ব্যাট চালান থারাঙ্গা। স্কোরবোর্ডে চোখ রেখে হিসাব কষে এগোতে থাকেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার। এই পথে তিনি সঙ্গী পান রনি তালুকদারকে।
হঠাতই ছন্দপতন সেই জুটিতে। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় খালিদ আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন রনি। চিটাগংয়ের দ্বিতীয় সাফল্যও আসে টাইগার পেসারের হাত ধরে। ১৩ বলে ২০ রান করা রনিকে ফেরানোর পরের বলেই সাকিব আল হাসানকে সাজঘরের পথ দেখান খালিদ।
মুখোমুখি প্রথম বলে একহাতে শট খেলতে গিয়ে সাকিব পয়েন্টে ধরা পড়েন ক্যামেরন ডেলপোর্টের হাতে। একটির বেশি বল খেলতে না পারায় স্বভাবতই রানে খাতা খুলতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক। তাতে খালিদ পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক করার সুযোগও। সেটা আটকে দেন নুরুল হাসান সোহান।
দ্রুত তিন উইকেট হারালেও নিজের কাজটা এরকম নীরবে করেছেন থারাঙ্গা। লঙ্কান ওপেনার তুলে নেন চলতি আসরে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। এবার খেলতে এসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে কোনো রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে করেন ৪২। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এই ম্যাচে করলেন ৪৩ বলে ৫১ রান। তার ইনিংসে সাতটি চারের মার থাকলেও কোনো ছক্কা নেই।
থারাঙ্গা আউট হলেও ততক্ষণে জয়ের রাস্তা চিনে যায় ঢাকা। বাকি পথটুকু কাইরেন পোলার্ডকে নিয়ে পাড়ি দেন নুরুল হাসান সোহান। পোলার্ড ৭ ও সোহান ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
চিটাগংয়ের হয়ে খালিদ তিনটি ছাড়াও একটি উইকেট নেন নাঈম হাসান।