“চিকুনগুনিয়া একটি নতুন রোগ। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। এ রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না। প্যারাসিট্যামল খেলেই সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্য জ্বর সেরে যায়।”
চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এমনটি বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
মেয়র খোকন রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বটতলায় ‘চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে মশক নিধন ক্র্যাশ কর্মসূচি’র উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন। ডিএসসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাত দিনব্যাপী এই কর্মসুচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
এ ছাড়া ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলালসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ পর্যন্ত সারা দেশে এই রোগে বহু সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ মারা যাননি। আমরা এই রোগ প্রতিরোধের জন্য জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন আরো বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটা সেমিনার হবে।
সেমিনারের সুপারিশ অনুযায়ী ডিএসসিসি মেয়র পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে এসময় আরও বলেন, এ রোগ যাতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়তে পারে সে জন্য আমরা ক্র্যাশ কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মশাবাহিত নতুন রোগ চিকুনগুনিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাদুর্ভাব হয়েছে। সম্প্রতি এই রোগটি ধরা পড়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলেও প্যারাসিট্যামল খেলেই সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্য জ্বর সেরে যায়। মশা বাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ কর্মসূচির পাশাপাশি সাত দিনের এই বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নিজ হাতে মশা মারার ফগার মেশিন নিয়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন করার কর্মীরা নগরীরর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ফগিং করেন।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিযেছে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএসসিসি’র কর্মীরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই মশা নিধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
নগরবাসী মনে করেন, মশা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এর প্রাদুর্ভাব রোধ করতে নিয়মিত মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দাবী জানিয়েছেন।