আরব আমিরাতে দর্শকবিহীন আইপিএল আয়োজন করেও লাভের মুখ দেখেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দর্শক না থাকায় জুয়াড়িরা ফিক্সিং করতে পারেনি বলে স্বস্তিতে ছিল বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। যদিও টুর্নামেন্টের তিন মাস পর অভিনব পদ্ধতিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এতদিন বাদে জানা যাচ্ছে, ডাক্তার সেজে এক নার্স জানার চেষ্টা করেছিলেন আইপিএলের ভেতরকার তথ্য!
করোনার কারণে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আমিরাতে শুরু হয় আইপিএলের ১৩তম আসর। আর গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক ক্রিকেটারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ম্যাচ নিয়ে বেশকিছু গোপন প্রশ্ন করেন ওই নার্স। গোপন সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, তিন বছর ধরে সেই নার্সের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ছিল সেই ক্রিকেটারের।
নিজেকে দিল্লির একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সেই ক্রিকেটারের ভক্ত বলে দাবি করেন নার্স। করোনাভাইরাস সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা থাকায় নার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেই ক্রিকেটারও।
এরপর ধীরে ধীরে গল্পের ছলেই ক্রিকেটের ভেতরের তথ্য জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হয়। ম্যাচের প্রথম একাদশ কী হতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে। নার্সের প্রশ্ন শুনে রেগে যান ওই ক্রিকেটার। এই ধরনের প্রশ্ন করলে তিনি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দেন।
শুধু হুমকি দিয়েই থেমে থাকেননি ওই ক্রিকেটার। সঙ্গে সঙ্গেই বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিটকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। সেই ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতে টুর্নামেন্টের মাঝে তদন্ত শুরু হয়। যদিও কোনো বিশেষ তথ্য হাতে না আসায় তদন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আকসুর পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেজন্য তদন্ত সেখানেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বছর দুয়েক আগে জাতীয় দলে খেলা ওই ক্রিকেটারের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।