চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তার গৃহকর্মীকে হত্যার মামলায় নাজনীনের স্বামীর ভাগ্নে (বোনের ছেলে) আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আসামির করা জেল আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ সোমবার এই রায় দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ‘ল্যাবএইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম শামীমের বোন চিকিৎসক নাজনীন আক্তার। আর নাজনীনের স্বামী আফসারুজ্জামান। যিনি তার বড় বোনের ছেলে আমিনুল ইসলামকে লেখাপড়া করানোর জন্য তাদের ঢাকার বাসায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে আমিনুলকে ভর্তি করা হয় মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। ২০০৫ সালের ৭ মার্চ নাজনীনকে তার বাসায় কুপিয়ে হত্যা করে ভাগ্নে আমিনুল। এদৃশ্য দেখে ফেলায় গৃহকর্মী পারভীন আক্তার পারুলকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর প্রথমে বগুড়া এবং পরে ফরিদপুরে গিয়ে শরিফুল ইসলাম নাম নিয়ে দিনে ৫০ টাকা পারিশ্রমিকে এক বাড়িতে কাজ নেন। এভাবে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায়ই ডিবি পুলিশ আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমিনুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে এই হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২৯ মে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে আমিনুল। সে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আমিনুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পরে জেল আপিল করে আমিনুল। সেই জেল আপিল আজ খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।