জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে এক বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিজিডি কার্ড চাইলে তাকে ভোট না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু ও তার সহযোগীদের বিরূদ্ধে। এ ঘটনায় ভিক্ষুক বিউটি সহ আরও ৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার দূর্গাদহ গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি জানান, দুই মামলাতেই ইউপি সদস্য পিন্টুকে ১ নাম্বার আসামী করে ১৪ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে হায়দার আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বরাতে জানা যায়, জয়পুরহাটের ভাদশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টু স্থানীয় গুচ্ছগ্রামের ভিজিডি চালের কার্ডের নাম লিস্ট করছিলো। এমন সময় বৃদ্ধা ভিক্ষুক বিউটি (৫৫) ও তার মেয়ে মারুফা ওই ইউপি সদস্যর কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিজিডি কার্ড চান করে। এ সময় ভিক্ষুক ও তার মেয়ে ওই ইউপি সদস্যকে ভোট দেননি অভিযোগ করে মা ও মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন ওই ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা।
সে সময় রোকসানা, দেলজান, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রতিবেশীরা তাদেরকে মারধর থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে অভিযোগ করলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত রাতে পুনরায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশী রোকসানা সহ তাদেরকে এলোপাথারি মারধর করে ৭ জন নারী পুরুষকে গুরত্বর আহত করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলী শাখিদার পিন্টুর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে ভাদশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, ভুক্তভোগীরা প্রথমে মারধরের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। যেহেতু মেম্বার সংশ্লিষ্ট ব্যাপার সেহেতু তাদের থানায় পাঠিয়ে দেই। তারা থানায় না গিয়ে ডিসি ও ইউএনও এরা কাছে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছে। পরে শুনছি এ নিয়ে প্রচন্ড গোন্ডগোল হয়েছে রাতে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, কাউকে মারার অধিকার আপনার আমার কারোই নাই। ওই ইউপি সদস্য যেহেতু মেরেছে সেহেতু তার বিরূদ্ধে মামলা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।