চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চালের দাম বেঁধে দিলো সরকার

চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ৫০ কেজি ওজনের ভালো মানের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চাল ২২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিকেজি মিনিকেট চালের দাম ৫১ টাকা ৫০ পয়সা আর মাঝারি মানের চাল দাম হবে ৪৫ টাকা।

মঙ্গলবার খাদ্য ভবনে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের এই দাম নির্ধারণ করে দেন। সেই বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তবে চালের এই দর মিলগেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল ব্যবসায়ীরা এই দামে চাল বিক্রি না করলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরু চাল আমদানি করা হবে।

অবশ্য তিনি নিজেও পারিবারিকভাবে একজন চালকল মালিক।

কয়েকদিন আগে চালকল মালিকদের সাথে বৈঠক করে সাধন চন্দ্র বলেছিন, ১৫ দিন আগে বাজারে চালের যে দাম ছিল, সেই দামে পুরো অক্টোবর মাস চাল বিক্রি করতে হবে। চালকল মালিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু পরে চালকল মালিকদের সাথে পুনরায় আলাপ করে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তিনি চালের এই দাম নির্ধারণ করে দেন।

সভায় চাল ব্যবসায়ীরা খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তারা গত ১৫ দিন আগে চালকলগুলো থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৫৫৫ টাকায় কিনেছেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, একশ্রেণির অসাধু চালকল মালিক অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রেখেছেন। এ কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। আমার নিজের নির্বাচনি এলাকা নওগাঁয় হাজার হাজার টন ধান মজুদ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কৃষকদের কাছে ২ শতাংশও ধান নাই। গোপন জরিপ করে প্রায় ৫০টা মিলের খোঁজ পেয়েছি। এসব মিলে কমপক্ষে ২০০ টন থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টন ধান মজুদ রয়েছে। এমনকি ৫০০ টন চালও মজুদ রয়েছে। আড়তদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রেখেছে।