সিলেট থেকে: হাতে বাকি মাত্র একদিন। সমাধানের নতুন কোনো পথ নাই। বুধবার সিলেট বিকেএসপির মাঠে কোচ জেমি ডেকে তাই বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেল ফরোয়ার্ড-মিডফিল্ডারদের নিয়ে কাজ করতে। কারণ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ফিলিপিন্সের বিপক্ষে আক্রমণভাগ জ্বলে না উঠলে যে ভালো কিছু আশা করাই দায় লাল-সবুজদের!
আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই বছরের নির্বাসন শেষে ফেরার পর বাংলাদেশের ফুটবল যেন আটকে আছে একই সমস্যার বৃত্তে। নির্বাসনের আগে আগে যেমন ফরোয়ার্ড আর ফিটনেস নিয়ে হাহাকার চলতো, ফেরার পর ফিটনেস নিয়ে দুশ্চিন্তা খানিকটা কমার পরও রয়ে গেছে মাথাব্যথার বড় কারণ ফরোয়ার্ড আর তাদের ফিনিশিং।
এমনও নয় যে জেমি ডের হাতে ফরোয়ার্ড নামক অস্ত্র একদমই নেই। মাহবুবুর রহমান সুফিল, জাফর ইকবাল, নাবীব নেওয়াজ জীবন, তৌহিদুল আলম সবুজদের মতো একঝাঁক তরুণ প্রতিভা দলে আছেন ঠিকই, কিন্তু বল পায়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢোকা মাত্রই খেই হারিয়ে ফেলছেন তারা। অল্প জায়গায় বল বানিয়ে নিয়ে গোলে শট নিতে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে ব্যর্থ এ ফরোয়ার্ডরা। তাই বাধ্য হয়ে গোল করতে এগিয়ে আসতে হয় বিপলু-তপু বর্মণদের। নিজেদের জায়গা মাঝমাঠ আর রক্ষণ সামলানোই যাদের আসল কাজ!
গত সাফে গ্রুপপর্বে তিন গোল করেছিল বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুটি করেছিলেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। ফরোয়ার্ডদের একপ্রকার ব্যর্থতায় তাই গোলের জন্য এখন তাকিয়ে থাকতে হয় ডিফেন্ডারদের দিকেও। বুধবার সংবাদ মাধ্যমকেও প্রশ্নটা তপুর দিকে ছুঁড়ে দিতে হল, ‘আপনার কাছে এখন একটা গোল প্রত্যাশা করে জাতি। এবার কী গোল করবেন না?’
একটা গোল করলেও যে দলের বিশাল ভালো সেটা জানেন তপু। জানালেন, সেই চেষ্টা তার থাকবে। তবে সেটা নিজের কাজ রক্ষণ বাদ দিয়ে নয়, ‘চেষ্টা করবো গোল করতে। গোল পেলে তো আমার জন্য ভালো। দলের জন্য ভালো। কিন্তু আমার চিন্তা হল আগে গোল বাঁচানো। তারপর গোলের জন্য ছোটা।’
তপু তার নিজের দায়িত্ব নিয়ে সচেতন। কিন্তু গোলের জন্য বাড়তি চাপটা এখন কাঁধে চেপেছে তারও। চাপ পড়ছে বাকিদের কাঁধেও। ফরোয়ার্ডরা যদি নিজের কাজটা সঠিক মতো সারতে পারেন, তাহলে গোল না পেলেও নিশ্চয় অখুশি হবেন না তপু।