চাঞ্চল্যকর সব মামলা নিবিড় তদারকির নির্দেশ দিয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব মামলা মনিটর করতে হবে।
বুধবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী পুুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন আইজিপি।
সভায় সকল রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন সিটির কমিশনার ও দেশের সবগুলো জেলার পুলিশ সুপার অংশ নেন।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘থানাগুলোকে জনগণের আস্থায় আনতে আমরা কাজ করছি। থানায় আসা জনগণের সাথে ভাল আচরণ করতে হবে। তাদের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
‘‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছি। মাদকের সাথে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তিনি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়া হবে না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জঙ্গিদের কার্যক্রম এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।’
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান গত ৩ মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯) সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
অপহরণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান দ্রব্য, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধার, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, অপমৃত্যু, পুলিশ আক্রান্ত মামলা, পরোয়ানা তামিলসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় এন্টিটেররিজম ইউনিটের নতুন ওয়েবসাইট ও এ্যাপস Inform ATU উদ্বোধন এবং বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমির জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।