বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে না পারায় প্রধান কোচ হিথ স্ট্রিকসহ জিম্বাবুয়ে দলের পুরো কোচিং স্টাফ বরখাস্ত হয়েছে। তাতেও জ্বালা কমছে না তাবেংভা মুখুলানির। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড প্রধানের দাবি, বর্ণবিদ্বেষী কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ডুবিয়েছেন স্ট্রিক!
বোর্ড প্রধানের অভিযোগের তীর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচে সেফাস ঝুয়াওয়ের পরিবর্তে দলে সুযোগ পান পিটার মুর। মুখুলানির অভিযোগ, ইচ্ছে করেই ঝুয়াওকে বাদ দিয়েছিলেন স্ট্রিক।
মুখুলানির ইঙ্গিত কৃষ্ণাঙ্গ আর শ্বেতাঙ্গ শব্দদুটির দিকে, ‘স্ট্রিক ছিল দলের কোচ এবং নির্বাচক। উপযুক্ত মনে হলে সে যে কাউকে দলে রাখতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল সে কেন সেদিন এমন ভাবে দলটা সাজাতে গেল। প্রত্যেক সাদা চামড়ার খেলোয়াড় জানে পিটার মুর আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে। কিন্তু কালো খেলোয়াড়রা কেউ জানতো না। সেফাস ঝুয়াওকে শুধু অনুশীলনের সময় জানানো হল সে খেলবে না। স্ট্রিক কেন পুরো দলকে এ ব্যাপারে জানালো না?’, ডেইলি নিউজ নামক এক পত্রিকার কাছে এসব কথা বলেন মুখুলানি।
এমন অভিযোগে ক্ষুব্ধ স্ট্রিক মুখ খুলতে বেশি সময় নেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের স্থানীয় ভাষা এনডেভেলে ভাষায় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই বোলিং কোচ, ‘বোর্ড প্রধান আমাকে বর্ণবিদ্বেষের মতো অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এটা অত্যন্ত হাস্যকর এবং অযৌক্তিক। আমাকে যারা ভাল করে চেনে তারা জানে আমি কী?’
‘একটা বিষয় সবার জানা উচিত টাটেন্ডা টাইবু, ডগলাস হোন্ডো ও আমাকে নিয়েই ছিল আমাদের নির্বাচন প্যানেল। তারা সবকিছু পরামর্শ করেই ঠিক করতো। ঐক্য মেনেই আমরা দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
বর্ণবিদ্বেষী বলায় মুখুলানিকেও এক হাত নিয়েছেন স্ট্রিক, ‘যখন আমি কাইল জারভিসকে বাদ দিয়ে টেন্ডাই চিসোরোকে নিলাম তখন সবকিছু ঠিক ছিল। আর যখন আমি সেফাস ঝুয়াওকে বাদ দিয়ে পিটার মুরকে নিলাম তখন আমি বর্ণবিদ্বেষী হয়ে গেলাম!’