বার্সেলোনারা সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাকি আছে আর ছয় মাস। যদি ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার পরিকল্পনাই করে থাকেন তাহলে এখন থেকেই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে দলবদল নিয়ে আলোচনায় বসতে পারবেন লিওনেল মেসি।
কিশোর বয়সে ২০০১ সালে যুব একাডেমি লা মেসিয়ায় যোগদানের মাধ্যমে শুরু মেসির বার্সা ক্যারিয়ার। এরপর ২০০৪ সালে মূল দলে অভিষেকের পর থেকে কাতালোনিয়া প্রদেশের এই বার্সেলোনাই হয়ে উঠে আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকরের বাড়িঘর। গত ১৬ বছরে একাধিকবার মৃদু গুঞ্জন উঠলেও এবারই প্রথম বার্সা ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মেসি।
চুক্তির বাঁধা আর সাবেক বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ দেওয়াল হয়ে না দাঁড়ালে মেসি বার্সা ছাড়তেন গত আগস্টেই। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর ন্যু ক্যাম্পে খেলার আগ্রহ হারান আজের্ন্টাইন তারকা। চুক্তির মেয়াদ সেসময় বাকি ছিলো আর মাত্র এক মৌসুম। আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়ে সেবার মেসির বার্সার ছাড়ার রাস্তা আটকে দেন বার্তেমেউ।
সেই চুক্তির মেয়াদ কমে এখন দাঁড়িয়েছে ছয়মাস, শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। দলবদলের নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকেই যেকোনো ক্লাবের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, তাতে আইনি কোনো মারপ্যাঁচ খাটাতে পারবে না বার্সা।
তবে গোল ডটকম তাদের প্রতিবেদনে বলছে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ক্লাবের সঙ্গে আলাপে বসেননি মেসি ও তার বাবা এবং এজেন্ট হোর্হে মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার দলবদলে যে দুই ক্লাবের নাম সবচেয়ে বেশি আসছে সেই পিএসজি ও ম্যানসিটি মুখে মেরেছে তালা।
তাহলে কী বার্সায় মেয়াদ বাড়াতে দরকষাকষি শুরু করেছেন মেসি? গোল ডটকম বলছে এ বিষয়েও নীরব মেসি ও তার বাবা। আগামী ২৪ জানুয়ারি হবে বার্সার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ভবিষ্যতে কী করণীয় সেটা হয়তো নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসেই ঠিক করবেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা।