চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত ৪ জঙ্গির লাশ শুক্রবার দুপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে নিহত ৪ জঙ্গির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে জঙ্গি রফিকুল ইসলাম আবু ছাড়া আর কারো পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ারেস আলী মিয়া বলেন, চারজনের মধ্যে শুধু আবুর লাশ অক্ষত আছে। অন্য তিনজনের দেহ ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় তাদেরকে চেনা যায়নি। তবে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের একটি দল পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। বাড়িটি চারদিক থেকে এখনো ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এছাড়া নিহত জঙ্গি আবুর লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আবুর মা ফুলসানা বেগম। তবে আবুর দুই মেয়ের সব দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন তিনি।
আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া জঙ্গি আবুর স্ত্রী সুমাইয়া (২৭) ও দুই বছরের শিশুকন্যা সাদিকাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ এপ্রিল ভোর থেকে পুলিশ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর এলাকার একটি বাড়ি ঘিরে রাখে।
সন্ধ্যায় ওই বাড়ির দিক থেকে প্রায় পাঁচশো গজ দূরে অবস্থানরত সাংবাদিকরা টানা গুলির শব্দ শুনতে পান।
এই ঘটনার পরে এলাকার শিবনগর ও ত্রিমোহনী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সন্ধ্যার দিকে দুই ঘন্টা অভিযান চালানোর পরে অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে সোয়াট। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আবারো অভিযান শুরু হয়।
সোয়াটের অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে চারজনের লাশ মেলে, যারা নিজেদের ঘটানো বিস্ফোরণে মারা যায় বলে পুলিশ জানায়।
তবে শুক্রবার দুপুরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হলেও এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।