করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুরের ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের সংকট। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডাজনিত রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। করোনার এই সময়ে ঔষধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় এ জাতীয় ঔষধের সরবরাহ কম থাকায় দেখা নিয়েছে সংকট। তাছাড়া অনেক মানুষ অপ্রয়োজনে আগে থেকেই এসব ঔষধ সংগ্রহে রাখার প্রবণতাকেও দায়ী করছেন তারা।
শনিবার শহরের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে এই চিত্র চোখে পড়ে।
রাসেল নামের এক ক্রেতা জানান, তার ২ বছর বয়সী বাচ্চার জ্বর এসেছে। ডাক্তার বলেছে নাপা ঔষধ খাওয়াতে। কিন্তু শহরের অনেকগুলো ফার্মেসি ঘুরেও ঔষধ পাননি তিনি।
এছাড়াও আরও কয়েকজন ক্রেতা বলেন, পরিবারের সদস্যদের গায়ে জ্বর থাকায় ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্যারাসিটামল ঔষধ কিনতে ফার্মেসিতে এসেছি। কিন্তু ‘নাপা’, নাপা এক্সটেন্ড বা প্রথম সারির কোন কোম্পানীর প্যারাসিটামলের ঔষধ পেলাম না। এই মহামারীর সময়ে ঔষধের সংকট হলে আমরা যাবো কোথায়।
শহরের দোলা ফার্মেসী ও চাঁদপুর ফার্মেসীর স্বত্ত্বাধিকারী বলেন, দোকানে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের সরবরাহ কম। কিন্তু ঔষধ নিতে আসা প্রায় প্রত্যেকেই প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ চাচ্ছেন। গত ১ মাস যাবৎ নাপা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা রেটিট, নাপা ওয়ান, নাপা এক্সট্রা ঔষধের সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাছাড়া এইস, এইস প্লাস, এইস পাওয়ার, এইস এক্সআর ঔষধগুলোও পর্যাপ্ত সরবরাহ পাচ্ছি না।
তবে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিব উল করিম বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ মজুদ রয়েছে, কোন সংকট নেই।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, চাঁদপুর জেলার সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল ঔষধ মজুদ রয়েছে। রোগীদেরকে তাদের চাহিদা মতো দেওয়া হচ্ছে। তবে জেলার ফার্মেসীগুলোতে নাপা ঔষধ নেই। চাহিদার তুলনায় তাদের উৎপাদন কম থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যাথায় যেকোন কোম্পানীর প্যারাসিটামল খেলেও একই কাজ করবে। তাছাড়া ফার্মেসি থেকে যেন কেউ অতিরিক্ত ঔষধ নিয়ে মজুদ না করে সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, ঔষধ সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি সংকট থাকে তবে ঔষধ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।